20 Agrohayon 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সর্বশেষ / বিদ্রোহীদের দখলে ইরাকের বৃহত্তম তেল শোধনাগার

বিদ্রোহীদের দখলে ইরাকের বৃহত্তম তেল শোধনাগার

এনবিএন ডেক্স: শিয়া নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছ থেকে ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরের দখল নেয়ার পর গত বুধবার পাশ্ববর্তী বেইজি তেল শোধনাগারও বন্ধ করে দিয়েছে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট সুনি্ন বিদ্রোহীরা। নিরাপত্তা কর্মীরা জানান, সুনি্ন মতাদশের্র জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট ইন ইরাক অ্যান্ড লেভেন্ট (আইএসআইএল) এর সদস্যরা দুই দিক থেকে (সিরিয়া সীমান্ত ও ইরাক) বেইজি শহরে ঢুকে পড়ে। তারা জেলখানা ভেঙে কায়েদীদের বের করে আনে এবং থানায় ব্যাপক ভাংচুর চালায়। বেইজি তেল শোধনাগারের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ২৫০ জন সদস্যকে নিরাপদে বের হযে যাওয়ার সুযোগও দেয় তারা। সুনি্ন বিদ্রোহীদের হুঁশিয়া করে ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুসায়ের জেবারি বলেন, তাদের কৃতকমের্র বিরুদ্ধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার সময় এসেছে। জঙ্গিদের মোকাবেলা করতে ইরাকের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। মসুল থেকে বিদ্রোহীদের তাড়াতে পাশের স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি প্রশাসনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করা হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বেইজির স্থানীয় পুলিশ ও সেনারা যাতে বিদ্রোহীদের প্রতিরোধের চেষ্টা না করে স্থানীয় জ্যেষ্ঠ উপজাতীয় নেতাদেরকে সে ব্যবস্থা কারতে বলেছে বিদ্রোহীরা।
বেইজি তেল শোধনাগার থেকে প্রতিদিন তিন লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয়। বাগদাদসহ ইরাকের অভ্যন্তরীণ তেলের বড় সরবরাহও হয় বেইজি থেকে।
শোধনাগারের এক শ্রমিক বলেন, সকালে কাজ করার জন্য সেখানে ঢুকতে পারেননি তারা। বিকালের দফায় কাজ করা যাবে কিনা সে সম্পর্কেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধের পর সোমবার রাতে ইরাকের নিনভাহ প্রদেশের রাজধানী মসুলের নিয়ন্ত্রণ নেয় বিদ্রোহীরা। তাদের উপস্থিতির পর সেখান থেকে পুলিশ ও সেনা সদস্যরা তাদের পোশাক ছেড়ে পালিয়ে গেছে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়। মসুল দখলের পর পাশের বেইজি শহরের দিকে এগিয়ে আসে বিদ্রোহীরা। শহরটি সুনি্ন প্রভাবাধীন এবং ঐতিহাসিকভাবেও সমপ্রদায়টির কাছে এর গুরুত্ব রয়েছে। ওই অঞ্চলকে ঘিরে সুনি্ন খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আল কায়েদা সংশ্লিষ্ট জঙ্গিরা। সুনি্ন মতাদশের্র অনুসারি হলেও উত্তর ইরাক ও পাশের দেশ সিরিয়ায় অন্যান্য কয়েকটি সুনি্ন যোদ্ধা গোষ্ঠীর সঙ্গেও দ্বন্দ্ব রয়েছে আল কায়েদার মিত্র আইএসআইএলের। তবে গত একবছর ধরে ওই আঞ্চলে একের পর এক শহরের দখল নিচ্ছে তারা। উত্তর ইরাকে সুনি্ন মুসলিমদের নেতৃত্বে নতুন খেলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে আইএসআইএল বিদ্রোহীরা। সেকারণে প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম ৭হোসেনের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে শিয়া শাসক নূরি আল মালিকির প্রশাসনের কাছে কার্যত কোণঠাসা হতে থাকা সুনি্ন মুসলিমদের সমর্থনও পাচ্ছে তারা। মসুল ও এর আশপাশের শহরে অন্তত ২০ লাখ মানুষের বসবাস। বুধবার অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের পক্ষ থেকে বলা হয় বিদ্রোহীদের দখলে যাওয়ার পর পাঁচ লাখ মানুষ ওই অঞ্চল ছেড়ে পালিয়েছে। গত এক বছরে ফালুজা ও মরু অঞ্চল রামাদির দখল নিয়েছে আইএসআইএল। তবে নতুন করে মসুল শহরের দখল নেয়ার পর তা বাগদাদ প্রশাসনের ওপর বড় ধরনের ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন...

মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

আরটিভি’র সংবাদ প্রযোজক মুহম্মদ আবদুল কাইয়ূম পাভেল এর বড় ভাই মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ আর …