এনবিএন ডেক্স: ৬ মাস বন্ধ থাকার পর পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে আবার চালকবিহীন বিমান (ড্রোন) হামলা শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। করাচি বিমানবন্দরে জঙ্গি হামলার চারদিনের মধ্যেই পাল্টা এ হামলাটি চালানো হল। বুধবার রাতে ও বৃহস্পতিবার ভোররাতে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আলাদা দুটি হামলায় অন্ততপক্ষে ১৬ জঙ্গি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দ্য ডন। পাকিস্তান তালেবানের (টিটিপি) সঙ্গে দেশটির সরকারের শান্তি আলোচনার সুবিধার্থে ড্রোন হামলা বন্ধ করতে সম্মত হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।
কিন্তু আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পর রোববার গভীর রাতে করাচি বিমানবন্দরে ভয়াবহ হামলা চালায় টিটিপি। এতে আত্মঘাতী ১০ জঙ্গিসহ মোট ৩৯ জন নিহত হন। এই হামলার পরপরই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তান সরকারের উপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। তারই পথ ধরে পাকিস্তানের পাহাড় অধ্যুষিত এলাকায় জঙ্গি অবস্থান লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালানো হল। উত্তর ওয়াজিরিস্তানের দরগা মান্দি এলাকায় একটি গাড়ি ও একটি বাড়ি লক্ষ করে বুধবার রাতে প্রথম হামলাটি চালানো হয়। স্থানীয় প্রধান শহর মিরানশাহ’র ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে এ হামলার সময় ড্রোন থেকে ছয়টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া হয়। হামলায় আল কায়েদার হাক্বানি নেটওয়াকের্র অস্তানা হিসেবে বিবেচিত ওই বাড়িটিতে সন্দেহভাজন ৬ জঙ্গি নিহত হন।
মিরানশাহ থেকে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “এদের চারজন উজবেক ও অপর দুইজন পাঞ্জাবি তালেবান। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, জঙ্গিরা তাদের পিকআপ গাড়িটি বাড়ির বাইরে দেয়ালের পাশে রেখে দিয়েছিল এবং হামলায় বাড়িটি ও পিকআপটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এর কয়েক ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়। এ সময় দান্দি দারপাখেল এলাকায় ড্রোন থেকে ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে অন্ততপক্ষে ১০ জঙ্গি নিহত ও অপর চারজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চারটি আলাদা বাড়ি ও একটি পিকআপ ট্রাক লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোঁড়া হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, মিরানশা এলাকার আকাশে ৫ থেকে ১০টি ড্রোন টহল দিচ্ছে।
করাচি বিমানবন্দরে হামলায় উজবেক জঙ্গিরা অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তান তালেবান ও ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেক। পাকিস্তান সরকারের আহ্বানে ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিকে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিম খাইবার অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর আকাশ হামলায় অন্ততপক্ষে ১৫ জঙ্গি নিহত হন।
মিরানশাহ থেকে এক গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, “এদের চারজন উজবেক ও অপর দুইজন পাঞ্জাবি তালেবান। কর্মকর্তারা জানিয়েছে, জঙ্গিরা তাদের পিকআপ গাড়িটি বাড়ির বাইরে দেয়ালের পাশে রেখে দিয়েছিল এবং হামলায় বাড়িটি ও পিকআপটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। এর কয়েক ঘন্টা পর বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে দ্বিতীয় হামলাটি চালানো হয়। এ সময় দান্দি দারপাখেল এলাকায় ড্রোন থেকে ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়। এতে অন্ততপক্ষে ১০ জঙ্গি নিহত ও অপর চারজন আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চারটি আলাদা বাড়ি ও একটি পিকআপ ট্রাক লক্ষ করে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোঁড়া হয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় অধিবাসীরা জানিয়েছেন, মিরানশা এলাকার আকাশে ৫ থেকে ১০টি ড্রোন টহল দিচ্ছে।
করাচি বিমানবন্দরে হামলায় উজবেক জঙ্গিরা অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পাকিস্তান তালেবান ও ইসলামিক মুভমেন্ট অব উজবেক। পাকিস্তান সরকারের আহ্বানে ২০১৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে পাকিস্তানের উত্তরাঞ্চলে ড্রোন হামলা বন্ধ রাখা হয়েছিল। এদিকে, মঙ্গলবার পাকিস্তানের উত্তরপশ্চিম খাইবার অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর আকাশ হামলায় অন্ততপক্ষে ১৫ জঙ্গি নিহত হন।