স্পোর্টস ডেস্ক :
বিশ্বকাপ উপলক্ষে পাঠকদের জন্য ৩২টি দলের পরিচিতি নিয়ে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের আলোচ্য দল ইকুয়েডর। দক্ষিণ আমেরিকার এই দলটির খুটিনাটি তুলে ধরা হলো- যেভাবে বিশ্বকাপে ইকুয়েডর : লাতিন আমেরিকান অঞ্চল থেকে চারটি দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ইকুয়েডর তাদের মধ্যে ১টি। বাছাইপবের্র ১৬ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জয় তুলে নিয়েছে তারা। নিজেদের ভা ারে ২৫ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তালিকায় চতুর্থ স্থানে থেকে ব্রাজিলের টিকিট পেয়েছে রেইনালদো রুয়েদার দল। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের অতীত ইতিহাস : ১৯৫০ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে অভিষেক হতে পারতো ইকুয়েডরের। কিন্তু বাছাইপর্বে উত্তীর্ণ হয়েও নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিল তারা। মজার বিষয় হচ্ছে ১৯৬২ সালের পর প্রত্যেকটি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে তারা। ২০০২ সালে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের সঙ্গে কঠিন গ্রুপে পড়েছিল তারা। তাই প্রথম রাউন্ডই অতিক্রম করতে পারেনি তারা। ২০০৬ সালে চমক দেখিয়েছে ইকুয়েডর। সেবার তারা খেলেছে নকআউটপর্বে। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের শক্তি : ইকুয়েডরের সবচেয়ে বড় শক্তি তারা গতিময় ফুটবল খেলে। মাঝমাঠের খেলোয়াড়রাও প্রতিপক্ষের জাল কাঁপাতে পারদর্শী। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের দুর্বলতা : রক্ষণভাগে দলটির দুর্বলতা প্রতিপক্ষের চোখে পড়বে। তাদের গোলপোস্টেও রয়েছে নড়বড়ে অবস্থা। বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের বাজির ঘোড়া : ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের উইঙ্গার অ্যান্তোনিও ভ্যালেন্সিয়া তাদের প্রধান বাজির ঘোড়া। তবে গত মৌসুমে ম্যানইউতে তেমন ভালো খেলতে পারেননি তিনি। তাই আসন্ন বিশ্বকাপে নিজেকে প্রমাণ করার অপেক্ষায় থাকবেন ভ্যালেন্সিয়া। ইকুয়েডরের মাঝমাঠের অন্যতম ভরসা ক্রিশ্চিয়ান নোবা। এনের ভ্যালেন্সিয়া ও জেফারসন মন্তোরো দলকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবেন। বিশ্বকাপে একনজরে ইকুয়েডর, বিশ্বকাপ খেলেছে : ২ বার, শিরোপা : নেই, ফিফা র্যাংঙ্কিং : ২৮, বিশ্বকাপের কোচ : রেইনালদো রুয়েদা, ব্রাজিল বিশ্বকাপের গ্রুপ : ‘ই’, আসন্ন বিশ্বকাপে তাদের প্রতিপক্ষ : সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স ও হন্ডুরাস, বিশ্বকাপে সেরা পারফরম্যান্স : ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিয়েছিল ইকুয়েডর, সাবেক তারকা ফুটবলার : উলিসেস ডি লা ক্রুজ, অগাস্টিন দেলগাদো ও হোসে ফ্রান্সিসকো সেভেলাস।