এনবিএন ডেক্স: চার দিনের জাপান সফরকে সফল বলে দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। গতকাল শনিবার বিকেল ৪টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান সফর সফল হয়েছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে জাপানের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যোগ হলো। সফরকালে ২ দেশ যৌথ ইশতেহারে সই করেছি। জাপানের দেওয়া ৬’শ কোটি ডলার উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে দেখছে। জাপানের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনে নিজের সফরকালে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ের অর্জন নিয়ে কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা র্যাব বিলুপ্ত করার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দাবি নাকচ করে দিয়ে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চলতে চলতে এটা একটা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। চট করে বন্ধ করা সম্ভব না। শেখ হাসিনা বলেন, হাই কোর্টের একটি বেঞ্চ কিভাবে অর্ডার দেয়, গ্রেফতার করেন। ওই জজ সাহেবের কাছে নিশ্চয়ই তথ্য আছে। দুই জজের কাছে তথ্য থাকলে দিন। তদন্তের সহায়তা করুন। ওই বেঞ্চের জজ সাহেবরাই তদন্ত করবেন। তারাই বিচার করবেন। এসময় সাংবাদিকদের দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী, কনটেম্প করবে? আমি পরোয়া করি না। আমার কথা কঠোর হয়ে যাচ্ছে? বাস্তব কথা কঠোরই হয়। শেখ হাসিনা বলেন, র্যাব একটা বাস্তবতা। বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়ে ২০০১ সালে ‘অপারেশন ক্লিন হার্টে’ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ প্রায় দেড়’শো মানুষকে হত্যা করা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের আগে রক্ষী বাহিনীর সমালোচকদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা রক্ষী বাহিনী, রক্ষী বাহিনী করল- তারাই র্যাব তৈরি করল। র্যাব প্রতিষ্ঠার পর প্রথম পাঁচ বছরে প্রায় এক হাজার মানুষ হত্যা করা হয়। তখন সকলে প্রশংসা করেছিল। দিনের পর দিন র্যাব যখন মানুষ হত্যা করেছিল তখন তো কেউ প্রশ্ন করেন নাই। কিশোরগঞ্জের সোনালী ব্যাংকের ১৬ কোটি টাকা উদ্ধার করার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, র্যাব অনেক সেনসেশনাল ঘটনার সমাধান করেছে। নারায়ণগঞ্জের সাত খুন এবং ফেনীর একরাম হত্যাকান্ড প্রসঙ্গে সরকার প্রধান বলেন, আমরা কিছু ঢাকি না। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। অপরাধী যে দলেরই হোক আমরা ছাড়ছি না। নারায়ণগঞ্জের সাত হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী নূর হোসেন এবং সাংসদ শামীম ওসমানের কথিত কথোপকথন নিয়ে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, সে তো তাকে সারেন্ডার করতে বলেছিল। অডিও আলাপের অথিনটিসিটি কতটুকু? এই প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধ যদি প্রমাণ না করা যায়, তাহলে কাউকে অপরাধী বলা যায় না। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, নূর হোসেন জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি বিএনপিতে যোগ দেন। ১৯৯৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগে আসেন। ফেনীতে একরাম হত্যাকান্ডের অভিযুক্তরাও ‘বিপরীত ধারার রাজনীতি’ করতো বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।
আইনমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের সুযোগ আপাতত নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী তো ঠিকই বলেছেন। আইনগতভাবে যেটা বাস্তব, সেটা বলেছেন। জামায়াতের রাজনীতি বন্ধের পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে প্রশ্নে শেখ হাসিনাও আইনি জটিলতাকে কারণ দেখিয়ে বলেন, সেটা উচ্চ আদালতে পেন্ডিং আছে। উচ্চ আদালতের রায় আসার আগে আমাদের কিছু করণীয় নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিচার হবেই। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।
এ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করে লাভ নেই। আমার কাজ আমি করবো। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান’কি মুন টেলিফোন করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে কার এতো সাহস আছে এরপরও এই ফাঁসি দিতে পারে? এই সাহস দেখাতে পারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেও জিয়াউর রহমান সামরিক আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক অধ্যাদেশ জারি করে সেই বিচার বন্ধ করে দেয় এবং যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তাদের পুনরায় নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করল, এটা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না? ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর যারা প্রশংসা করেছিল, তারাই এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীত্ব কতটুকু উপভোগ করছেন- এরকম এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা পাল্টা বলেন, উপভোগ করার কি আছে? এটা তো কঠিন দায়িত্ব। সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন চান? আবার খুন-খারাবী চান? আমি তা হলে দিয়ে দেই? যে আন্তরিকতা নিয়ে আমি কাজ করবো, অন্য কেউ করবে না। তিনি বলেন, জামায়াতের বিচার নিয়ে কোনো এতো হৈ চৈ? এতো অস্থিরতা কেনো? বোধগম্য নয়।
ফরমালিনে তাজা বিএনপি
‘সরকারকে পচতে সময় দেয়া হচ্ছে-‘ বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পাল্টা বলেন, ‘পচছে’ বিএনপিই, আর দলটিকে ‘ফরমালিন দিয়ে তাজা’ রাখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, পচলোটা কে? নির্বাচনে অংশ না নিয়ে উনি নিজেই তো পচে গেছেন। তিনি বলেন, এখন তো সব জায়গায় ফরমালিন। ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিএনপিকে ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করছি। না হলে এত কথা কিভাবে বলছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা ‘ভুল’ ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো রাজনীতিক যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, সে ভুলের খেসারত তাকে দিতে হবে। তিনি বলেন, ৪০ ভাগ ভোটার ভোট দেয়ার পর কেন নির্বাচন বৈধ হবে না। যারা বৈধতার প্রশ্ন আনে, তাদের জন্ম অবৈধভাবে। যাদের জন্ম অবৈধভাবে, তারা সব অবৈধ দেখে। বিনা প্রতিদ্বনি্দ্বতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি সংবিধানেই রয়েছে জানিয়ে এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্ধী না থাকার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনারা এলেই তো হত। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আইনমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রী
একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের জন্য দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচারের সুযোগ আপাতত নেই বলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বক্তব্যে সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী তো ঠিকই বলেছেন। আইনগতভাবে যেটা বাস্তব, সেটা বলেছেন। জামায়াতের রাজনীতি বন্ধের পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে প্রশ্নে শেখ হাসিনাও আইনি জটিলতাকে কারণ দেখিয়ে বলেন, সেটা উচ্চ আদালতে পেন্ডিং আছে। উচ্চ আদালতের রায় আসার আগে আমাদের কিছু করণীয় নেই। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে ধৈর্য ধরার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিচার হবেই। অন্যায়কে প্রশ্রয় দেব না।
এ নিয়ে আমাকে প্রশ্ন করে লাভ নেই। আমার কাজ আমি করবো। কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় বাস্তবায়ন না করার অনুরোধ জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী জন কেরি এবং জাতিসংঘের মহাসচিব বান’কি মুন টেলিফোন করেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে কার এতো সাহস আছে এরপরও এই ফাঁসি দিতে পারে? এই সাহস দেখাতে পারে বঙ্গবন্ধুর কন্যা। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করলেও জিয়াউর রহমান সামরিক আইনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক অধ্যাদেশ জারি করে সেই বিচার বন্ধ করে দেয় এবং যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিল, তাদের পুনরায় নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেয়। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করল, এটা নিয়ে তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না? ‘জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের পর যারা প্রশংসা করেছিল, তারাই এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে’ বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার তৃতীয় মেয়াদের প্রধানমন্ত্রীত্ব কতটুকু উপভোগ করছেন- এরকম এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা পাল্টা বলেন, উপভোগ করার কি আছে? এটা তো কঠিন দায়িত্ব। সরকার মধ্যবর্তী নির্বাচন দেবে কিনা- এই প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচন চান? আবার খুন-খারাবী চান? আমি তা হলে দিয়ে দেই? যে আন্তরিকতা নিয়ে আমি কাজ করবো, অন্য কেউ করবে না। তিনি বলেন, জামায়াতের বিচার নিয়ে কোনো এতো হৈ চৈ? এতো অস্থিরতা কেনো? বোধগম্য নয়।
ফরমালিনে তাজা বিএনপি
‘সরকারকে পচতে সময় দেয়া হচ্ছে-‘ বিএনপি চেয়ারপারসনের এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পাল্টা বলেন, ‘পচছে’ বিএনপিই, আর দলটিকে ‘ফরমালিন দিয়ে তাজা’ রাখা হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, পচলোটা কে? নির্বাচনে অংশ না নিয়ে উনি নিজেই তো পচে গেছেন। তিনি বলেন, এখন তো সব জায়গায় ফরমালিন। ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা বিএনপিকে ফরমালিন দিয়ে তাজা রাখার চেষ্টা করছি। না হলে এত কথা কিভাবে বলছেন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ না করা ‘ভুল’ ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, কোনো রাজনীতিক যদি ভুল সিদ্ধান্ত নেয়, সে ভুলের খেসারত তাকে দিতে হবে। তিনি বলেন, ৪০ ভাগ ভোটার ভোট দেয়ার পর কেন নির্বাচন বৈধ হবে না। যারা বৈধতার প্রশ্ন আনে, তাদের জন্ম অবৈধভাবে। যাদের জন্ম অবৈধভাবে, তারা সব অবৈধ দেখে। বিনা প্রতিদ্বনি্দ্বতায় নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি সংবিধানেই রয়েছে জানিয়ে এক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্ধী না থাকার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উনারা এলেই তো হত। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।