এনবিএন ডেক্সঃ বিগত ২৭ বছর ধরে পিতৃ পরিচয় লাভের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নওগাঁর সাপহার উপজেলার বিন্নাকুড়ি (বাগডাঙ্গা) গ্রামের আনিকুল ইসলাম (২৭)। এ লড়াই চালিয়ে যেতে বর্তমানে তার উপর নেমে এসেছে নানা অত্যাচার ও নির্যাতন। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী এমন কি প্রাননাশের হুমকিও। এসব হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে সে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। অর্থনৈতিক সংকটে দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে।
জানা গেছে, ২৭ বছর পূর্বে ঐ গ্রামের গরীব দিনমজুর মৃত সাজ্জাদ হোসেনের কন্যা রাশেদা বেগম কাজ করতো প্রতিবেশী আব্দুল গাফফারের ছেলে আনছার আলীর বাড়িতে। তখন বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আনছার আলী রাশেদার সাথে গড়ে তোলে অবৈধ দৈহিক সম্পর্ক। এক পর্যায়ে রাশেদা গর্ভবতী হয়। তখন বিয়ের জন্য চাপ দিলে এলাকায় কয়েকদফা শালিসী অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় আনছার আলীর স্থানীয়ভাবে কোন বিচার না হওয়ায় সাপাহার কোর্টে মামলা করে রাশেদা। এ মামলায় আনছারের জেল হয়। ততক্ষনে রাশেদর একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহন করে। তার নাম আনিকুল ইসলাম। পুত্র সন্তানসহ স্ত্রীর মর্যাদা ফিরিয়ে দিবে এমন আশ্বাসের ভিত্তিতে স্থানীয় আপোষনামা সম্পাদনের মাধ্যমে রাশেদা সে মামলা প্রত্যাহার করে নিলে আনছার মুক্তি পায়। কিন্তু আনছার মুক্তি পেলেও আর রাশেদাকে গ্রহন করেনি। এই অবস্থায় দিনের পর দিন পিতৃ পরিচয়হীন সন্তানকে কোলে নিয়ে দিন কাটতে থাকে রাশেদার। সমাজের শত বাধা উপেক্ষা করে অন্যের বাড়িতে কাজ করে বড় করে তোলে তার সন্তানকে। এখন তার সেই সন্তান আনিকুল ইসলাম পূর্ন যুবক। তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম নিবন্ধন কার্ডে পিতার নাম আনছার আলী বলে উল্লেখ করেছে সে। তারপরও পিত তাকে স্বীকৃতি প্রদান করছে না। আনিকুল এখন ঐ সময়ে যে আপোষনামা সম্পাদিত হয়েছিল তা উদ্বারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ঐ আপোসনামা সম্পাদনের সময় যেসব মাতব্বররা উপস্থিত ছিলেন তাদের কাছে ধর্না দিয়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কেউই তাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না বরং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে এবং প্রাণনাশের হুমকী প্রদান করা হচ্ছে। কাজেই সে এখন পলাতক জীবনযাপন করছে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁ সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার প্রতিরোধ, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসী চিহ্নিতকরণ, সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা …