17 Magh 1431 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / শিক্ষা / রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দেশ সেরা হওয়ার নেপথ্যে ২৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও যৌক্তিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের দেশ সেরা হওয়ার নেপথ্যে ২৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও যৌক্তিক উত্তরপত্র মূল্যায়ন

এনবিএন ডেক্স: রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের ৫২ বছর পর চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ৭টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে ফলাফলে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড স্মরণকালের সর্বোচ্চ ফলাফল হওয়ার পিছনে বোর্ড কর্তৃপক্ষের ২৪টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও ৩ বছরের প্রচেষ্টা অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
১৯৬২ সালে স্থাপিত হয় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড। ওই শিক্ষা বোর্ড স্থাপনের দীর্ঘ প্রায় ৫২ বছর পর ৭টি সাধারণ বোর্ডের মধ্যে এবারই সর্বাধিক পাশের হার এসএসসিতে। ২০১১ সালে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ নকল মুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ ও শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করতে ২৪টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ওই বোর্ডের আওতাধীন ৭০টি উপজেলার মধ্যে ইতিমধ্যেই ৪০টি উপজেলায় শিক্ষক শিক্ষিকা, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। সেই সভায় যেসব সুপারিশ মালা বাস্তবায়নের কথা উল্লেখ করা হয়, সেগুলোর মধ্যে ছিল দুর্বল শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে অতিরিক্ত ক্লাস নিয়ে ভাল ফলাফল নিশ্চিত করা, প্রশ্ন পড়ে যাতে সেই আলোকে উত্তর দেওয়া যায় সে বিষয়ে শিক্ষার্থীদের কৌশল রপ্ত করানো, বিষয়ভিত্তিক টিউটোরিয়াল পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে পরীক্ষা ভীতি দূর করা, সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে দুর্বল শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা, শিক্ষার্থীদের ইংরেজী ও গণিত বিষয়ে অতিরিক্ত ক্লাসের ব্যবস্থা করা, নোট ও গাইড বইয়ের পরিবর্তে মূল বই ভালভাবে পড়ার ব্যবস্থা নেয়া, অভিভাবদের মাঝে সচেতনতার সৃষ্টির লক্ষ্যে ৩ মাস অন্তর মতবিনিময় সভা, মা সমাবেশ করা, বিষয়ভিত্তিক যোগ্য শিক্ষকদের পরীক্ষক/প্রধান পরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া যৌক্তিক ভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা সহ ২৪টি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় ৭টি সাধারণ বোর্ডের পাসের গড় হার ছিল ৯১.৩৪ ভাগ। অপরদিকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৯৬.৩৪ ভাগ। অভাবনীয় পাসের এ সাফল্যের বিষয়ে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএমএ হোরাইরা জানান, সরকারের বই উৎসব, ১ম শ্রেণী থেকে ১০ শ্রেণী পর্যন্ত বই বিতরণ দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রে মাইল ফলক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এছাড়াও তিনি আরো জানান, সমাজের উচ্চবিত্ত থেকে একেবারে নিম্নবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের সুপ্ত মেধাকে বিকশিত করতে পেরেছে। শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, শিক্ষক ও অভিভাবকদের নিরলস পরিশ্রম আর বোর্ডের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আর নিবিড় পর্যবেক্ষণের কারণে এ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। এবারেই প্রথম শুন্য পাশের হারের তালিকায় একটি স্কুলও নেই। পাবলিক পরীক্ষা নকল মুক্ত পরিবেশে গ্রহণ, ফলাফল একশ’ ভাগে উনি্নতকরণ এবং নৈতিক অবক্ষয় রোধে ২০১১ সালে এপ্রিল মাসে বোর্ড কর্তৃপক্ষ ২৪টি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সংশ্লিষ্ট বোর্ডের আওতাধীন কেন্দ্র সচিবদের চিঠি দেওয়া হয়। পত্রে উল্লেখ করা হয়েছিল উপরোক্ত বিষয়ের আলোকে কেন্দ্র সচিবগণ তার কেন্দ্রে আওতাধীন প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে সভা করে ভাল ফলাফলের জন্য সুপারিশ মালা তৈরি করবেন এবং এসব সুপারিশ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে প্রেরণ করবেন। কেন্দ্র সচিবগণ বোর্ডের সেই পত্র মোতাবেক কাজ করে সুপারিশ মালা বোর্ডে প্রেরণ করেন। পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের লক্ষে বোর্ড কর্তৃপক্ষ পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষদের সাথে একাধিক বার মতবিনিময় সভা, গ্রুপ ডিসকাশন, উত্তর পত্র মূল্যায়নের কৌশল প্রজেক্টরের মাধ্যমে প্রদর্শন।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা

এন বিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় কোভিড-১৯ সময়ে প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। …