হরিপুর, (ঠাকুরগাঁও) সংবাদদাতাঃ ঠাকুরগাঁয়ের হরিপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের কৃষকের বপন করা ৬ শত ২০ হেক্টর সোনালী আঁশ (পাট) ক্ষেতে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এযেন এবার সোনালী আঁশ কৃষকের সর্বনাশ।
হরিপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এবার ০-৪ (তোষা), ৯৮৯৭ (ফাল্গুনী তোষা), দেশী ডি-১৫৪ (সাদা), সিভিএল-১ (লালচেভাব) ইত্যাদি জাতের পাটের আবাদ হয়েছে ৬ শত ২০ হেক্টর। গতবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আবাদ হয়েছিল ৮ শত ৪৪ হেক্টর। ফলন হয়েছিল তোষা প্রতি হেক্টরে ১১.৬৫ বেল্ট ও দেশী প্রতি হেক্টরে ৯.৩৫ বেল্ট কৃষক দামও পেয়েছিল ভাল। এবারও ফলাফল ভাল হওয়ার আশা রয়েছে তবে বর্তমানে অতিরিক্ত তাপদাহের কারণে মাঠে পাটের অবস্থা ভাল না।
ভাতুরিয়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, জুয়েল রানা ও মুনজুর জানায়, আমরা ৫ বিঘা জমিতে এন.এস.সি, কৃষান, জাতীয় ভারতীয় উচ্চ ফলনশীল পাট বীজ জমিতে বপন করেছি। ৯০ দিনের মধ্যে এ পাট কাটতে হবে কিন্তু পাট বপনের ৪০ দিন হলেও এবার অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রোদে পাট ক্ষেত পুরে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পানির সেচ দেওয়ার কারণে কোন মত টিকে আছে। ইতিপূর্বে কোন বছরেও পাট ক্ষেতে আমাদের এতো পানি দিতে হয়নি। এখন পর্যন্ত প্রতি বিঘা জমিতে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকা। এখনও পাটের কিছুই হয়নি।
সরকারি ভাবে পাট ক্রয় ও বাজারে পাটের উচ্চ মূল্য এবং পাট পোঁচানোর জলাশয় না থাকার কারণে পাট বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ফসল হওয়া সত্ত্বেও পাট চাষাবাদে দিন দিন কৃষক আগ্রহ হারাচ্ছে। পাট উৎপাদনের জন্য এ অঞ্চলের মাটি যতেষ্ঠ উপযোগী। পাট উৎপাদন এবং পাটের আঁশ ছোড়ানোর জন্য প্রযুক্তি গতভাবে সরকারি সহযোগীতা পেলে কৃষক আবারও পাট আবাদে ঝুঁকে পড়তে পারে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৭ জুন ২০১০ইং তারিখে দৈনিক করতোয়া পত্রিকার প্রথম পাতায় ‘পাটের জন্মরহস্য উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ’ এর শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেন, প্রকল্পের প্রধান উদ্ভাবক ড. মাকসুদ আলম। এসময় হতে পাট উৎপাদন ও বাজার জাতকরণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার কথা কিন্তু তা আজ অবধি কৃষক এর সুফল পায়নি।