এনবিএন ডেক্স:
বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১১৯০ ডলারে পেঁৗছেছে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরো জানিয়েছে। সেইসঙ্গে চলতি অর্থবছরের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে থাকছে বলে তাদের হিসাব। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ উপাত্ত উপস্থাপিত হয়। একনেক সভার পর পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল মাথাপিছু আয় ১১৮০ ডলার বললেও পরে পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই অঙ্কটি আরো ১০ ডলার বেশি। একনেক বৈঠকের পর দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মাথাপিছু আয় ১০৪৪ ডলার থেকে বেড়ে ১১৮০ ডলার হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় মন্ত্রণালয়ের আরেক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ১০৪৪ ডলার থেকে বেড়ে ১১৯০ ডলার হয়েছে। তথ্যের এই হেরফের নিয়ে রাতে বিবিএস মহাপরিচালক গোলাম মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ১১৯০ ডলারই প্রকৃত সংখ্যা। আমাদের চূড়ান্ত হিসাবে মাথাপিছু আয় ১১৯০ ডলার হয়েছে। এটাই প্রকৃত পরিসংখ্যান। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটসহ কাগজে-কলমে মাথাপিছু
আয় ১১৯০ ডলার উল্লেখ করব। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী কেন ১১৮০ ডলার বলেছেন- এ প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা কামাল বলেন, “সেটা আমি বলতে পারব না। তবে প্রকৃত হিসাব হচ্ছে ১১৯০ ডলার। এবিষয়ে জানতে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্য জানতে কয়েকবার তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয়ের এই তথ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ বৈঠকে উপস্থিত সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০০৫-০৬ বছরকে ভিত্তিবছর ধরে মাথাপিছু আয় এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন হিসাব দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গত অর্থবছরে ১৯৯৫-৯৬ বছরকে ভিত্তিবছর ধরে মাথাপিছু আয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯২৩ ডলার। পরে ২০০৫-০৬ ভিত্তিবছর ধরে নতুন প্রাথমিক হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪৪ ডলার। সংশোধিত হিসাবে তা আরো ১৪০ ডলার বাড়ল। আমরা আশা করছি, ২০২১ সাল নাগাদ মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলারেরও বেশি হবে। চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরলেও তা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা অর্জিত হবে না বলে খোদ সরকারই ধরে নিয়েছিল। সরকার লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ এ নামিয়ে আনলেও বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা বলছিল, প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ৬ এ পৌঁছবে না।
তবে মুস্তফা কামাল বলেন, একনেক সভায় ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই হিসাব অবশ্য সাময়িক হিসাব। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫ জুন জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করবেন, তাতে চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা উল্লেখ করবেন। চূড়ান্ত হিসাবে যা আসবে, তা পরে ঘোষণা করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি- যেখানে গত পাঁচ বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। সহিংস রাজনীতির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল)বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এপিডি)৫৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
আয় ১১৯০ ডলার উল্লেখ করব। সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী কেন ১১৮০ ডলার বলেছেন- এ প্রশ্নের উত্তরে মোস্তফা কামাল বলেন, “সেটা আমি বলতে পারব না। তবে প্রকৃত হিসাব হচ্ছে ১১৯০ ডলার। এবিষয়ে জানতে পরিকল্পনামন্ত্রীর বক্তব্য জানতে কয়েকবার তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। দুপুরের সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি এবং মাথাপিছু আয়ের এই তথ্যে প্রধানমন্ত্রীসহ বৈঠকে উপস্থিত সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। ২০০৫-০৬ বছরকে ভিত্তিবছর ধরে মাথাপিছু আয় এবং জিডিপি প্রবৃদ্ধির নতুন হিসাব দিয়েছে পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। গত অর্থবছরে ১৯৯৫-৯৬ বছরকে ভিত্তিবছর ধরে মাথাপিছু আয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯২৩ ডলার। পরে ২০০৫-০৬ ভিত্তিবছর ধরে নতুন প্রাথমিক হিসাবে মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪৪ ডলার। সংশোধিত হিসাবে তা আরো ১৪০ ডলার বাড়ল। আমরা আশা করছি, ২০২১ সাল নাগাদ মাথাপিছু আয় ২ হাজার ডলারেরও বেশি হবে। চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ২ শতাংশ ধরলেও তা রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা অর্জিত হবে না বলে খোদ সরকারই ধরে নিয়েছিল। সরকার লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৬ দশমিক ৫ এ নামিয়ে আনলেও বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থা বলছিল, প্রবৃদ্ধি কোনোভাবেই ৬ এ পৌঁছবে না।
তবে মুস্তফা কামাল বলেন, একনেক সভায় ঘোষণা দেয়া হয়েছে যে, চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এই হিসাব অবশ্য সাময়িক হিসাব। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৫ জুন জাতীয় সংসদে আগামী ২০১৪-১৫ অর্থবছরের যে বাজেট পেশ করবেন, তাতে চলতি অর্থবছরে ৬ দশমিক ১২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের কথা উল্লেখ করবেন। চূড়ান্ত হিসাবে যা আসবে, তা পরে ঘোষণা করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বিশ্বের কয়েকটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি- যেখানে গত পাঁচ বছর ধরে ৬ শতাংশের বেশি হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হচ্ছে। সহিংস রাজনীতির মধ্যেও চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল)বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এপিডি)৫৫ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে বলেও জানান তিনি।