রাজধানী ঢাকা এখন পতাকায় ছেয়ে গেছে। বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা ক্লাব যাই হোক না কেন রঙ বেরঙের পতাকায় ছেয়ে গেছে প্রায় প্রতিটি ভবনের ছাদ। রাস্তায়ও ধুমছে বিক্রিও হচ্ছে বিভিন্ন দেশের পতাকা। ছোট-বড় মার্কেট, বিপনি বিতানসহ অলি-গলিতেও পাওয়া যাচ্ছে ভিনদেশী পতাকা। বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসতে আরো ২২ দিন বাকি। এরই মধ্যে বিশ্বকাপ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে রাজধানী ঢাকাসহ পুরো দেশ। ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনা, জার্মানী কিংবা ইংল্যান্ড, ইতালী কিংবা ফ্রান্স, কোরিয়া কিংবা জাপান, স্পেন কিংবা আয়ারল্যান্ড-এসব দেশের পতাকা নিয়েই মুলত চলছে বেশি টানাটানি। সেই সঙ্গে বাঁশের মাথায় বাংলাদেশের পতাকাটিও স্থান পেয়েছে। যদিও বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেনি তাতে কি এসে যায়। রাজধানীর বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায়, গুলিস্তানে ও এর আশেপাশে প্রায় ৩০টির মত পতাকার দোকান বসেছে। দোকানদাররা বাঁশের মাথায় বিভিন্ন দেশের পতাকা ঝুলিয়ে খদ্দের টানার চেষ্টা চালাচ্ছেন। ক্রেতারাও ভীড় জমাচ্ছেন ওইসব দোকানে। পতাকার পাশাপাশি চলছে বিভিন্ন দেশের জার্সি কেনারও ধূম। পুরান ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে, সদরঘাট, সুত্রাপুর, বংশাল রোড ও ইসলামপুর- এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে পতাকা বিক্রি হচ্ছেনা। এছাড়া রাজধানীর ফার্মগেট, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বর, উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, শাহবাগ. মোহাম্মদপুর, রামপুরা এবং মালিবাগ এলাকায পতাকা বিক্রির ব্যপক তৎপরতা চোখে পড়েছে। শাহবাগে পতাকা বিক্রেতা আরমান জানান, প্রতিদিন প্রায় ৫০-৬০টির মত পতাকা বিক্রি করছে সে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে তা আরো বেড়ে যাবে বলে তার ধারণা। আপাতত বিক্রি কম হলেও লাভের পরিমাণ ঠিকই থাকছে। ১০০ টাকার পতাকায় লাভ হচ্ছে ২০ টাকা, ২০০ টাকার পতাকায় লাভ হচ্ছে ৫০ টাকা, ৩০০টাকার পতাকায় লাভ ৭০ টাকা। আর ৫০০ টাকার পতাকায় লাভ হচ্ছে ১০০ টাকার বেশি। গুলিস্তানে পতাকা বিক্রেতা শাহিন জানান, পতাকা বিক্রি করায় তার পেশা। যখন যে খেলার মৌসুম আসে তা নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। এখন চলছে তার বিশ্বকাপ নিয়ে মাতামাতি। শাহিন বলেন, এখন সারা বিশ্ব মেতে উঠবে ফুটবল নিয়ে। বাংলাদেশের মানুষও খুব সৌখিন বিধায় একেক জন একেক দেশের সমর্থক হয়ে থাকেন। আর তা প্রকাশ করতে পতাকা কিনে অবশ্যই বাসা-বাড়ির ছাদে টানিয়ে দেন। এই সুযোগে প্রতিদিন তিনি ২০০ থেকে ২৫০ টির মত পতাকা বিক্রি করছেন। লাভও হচ্ছে ভাল। সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার পতাকা। ক্রেতা এনামুল হক জানান, পতাকা কিনলাম ৩০০ টাকা দিয়ে। গতবারের (২০১০ বিশ্বকাপ) চেয়ে এবারে পতাকার দাম একটু বেশি। দাম যাই হোক ব্রাজিলের সমর্থক তাই পতাকা কিনতেই হলো। কোনো উপায় নেই না কিনে!
আরও পড়ুন...
খেলাধুলার চর্চা বাড়ানোর আহবান খাদ্যমন্ত্রীর
এনবিএন ডেক্সঃ মাদকমুক্ত যুবসমাজ গঠনে খেলাধুলার চর্চা বাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। শুক্রবার বিকালে …