এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর আত্রাইয়ে গৃহবধূরা সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি অবসর সময়ে কাগজের ফুল বানিয়ে সংসারে ফিরিয়ে এনেছে সচ্ছলতা। উপজেলার জামগ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার এ কাগজের ফুল বিক্রি করে এখন হয়েছে স্বাবলম্বী।
জানা যায়, আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জামগ্রাম নামক গ্রাম। এ গ্রামের জনবসতির অর্ধেকের বেশি দরিদ্র ছিল। এদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে কর্ম প্রেরণার সৃষ্টি হওয়ায় তারা কাগজের ফুল বানিয়ে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেন। এ থেকে শুরু হয় তাদের কাগজের ফুল বিক্রি পেশা। প্রাথমিক পর্যায় দুই একজন এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত হলেও বর্তমানে ওই গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার এখন এ পেশার সাথে জড়িত। বাড়ির গৃহকর্ত্রী ও গৃহবধূরা সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এ ফুল বানিয়ে দেয়। আর পুরুষ লোকজন তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে থাকেন। ফলে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংসারে ফিরে আর্থিক সচ্ছলতা। এদিকে এ ফুল শুধু নওগাঁ বা আত্রাই নয় বরং দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ফুলের চাহিদা হয়েছে ব্যাপক। ফলে দেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় এ ফুল বিক্রি করে থাকেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
জামগ্রামের গৃহবধূ রেখা বেবি ও জেলেখা জানান, আমরা বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসারে সচ্ছলতার জন্য এ ফুল বানানোতে মনোনিবেশ করি। প্রতিদিন সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি অবসর সময়ে ফুল বানিয়ে থাকি। এফুল আমাদের স্বামীরা বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে সংসারে বাড়তি আয় হয়। যা দিয়ে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি এবং সংসারেও কোন অভাব থাকে না। ওই গ্রামের ফুল বিক্রেতা শাহার আলী বলেন, আমরা কাগজের তৈরি এ ফুল দেশের প্রায় সব জেলাতেই বিক্রি করে থাকি। বিশেষ করে যখন যেখানে মেলা বা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সে সব স্থানে আমাদের এ ফুল সর্বাধিক বিক্রি হয়ে থাকে। এ জন্য কোন জেলার কোথায় কোথায় কোন তারিখে মেলা বা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আমরা আগাম তা সংগ্রহ করে থাকি। আর সে অনুযায়ী ওই সব মেলা ও উৎসবের পূর্বেই আমরা এ ফুল নিয়ে সেখানে পেঁৗছে যাই।
তিনি বলেন, ব্যবসা যদিও লাভজনক তার পরেও জীবনের যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এব্যবসা করতে হয়। স্বল্প খরচে সেই চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী বা কুমিল্লায় যাওয়ার জন্য আমরা বিলাসবহুল কোন গাড়িতে যেতে পারি না। অনেক সময় খরচ বাঁচানোর জন্য আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে বা ট্রাকে চড়ে গন্তব্যস্থলে যাই। ওই গ্রামের আরেক ফুল ব্যবসায়ী বলেন, এ ফুল বিক্রি করে অল্প সময়ে অনেক আয় করা যায়। এসব ফুল বানানোর জন্য নাম মাত্র মূল্যে আমরা পুরাতন কাগজ ক্রয় করে থাকি। বিভিন্ন রঙ দিয়ে তা রঙিন করে ফুল বানানোতে যে ব্যয় হয় তার তুলনায় আয় হয় অনেক বেশি। ফলে অল্প সময়েই সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।
জানা যায়, আত্রাই উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জামগ্রাম নামক গ্রাম। এ গ্রামের জনবসতির অর্ধেকের বেশি দরিদ্র ছিল। এদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে কর্ম প্রেরণার সৃষ্টি হওয়ায় তারা কাগজের ফুল বানিয়ে বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেন। এ থেকে শুরু হয় তাদের কাগজের ফুল বিক্রি পেশা। প্রাথমিক পর্যায় দুই একজন এ পেশার সাথে সম্পৃক্ত হলেও বর্তমানে ওই গ্রামের প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার এখন এ পেশার সাথে জড়িত। বাড়ির গৃহকর্ত্রী ও গৃহবধূরা সাংসারিক কাজের পাশাপাশি এ ফুল বানিয়ে দেয়। আর পুরুষ লোকজন তা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করে থাকেন। ফলে নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংসারে ফিরে আর্থিক সচ্ছলতা। এদিকে এ ফুল শুধু নওগাঁ বা আত্রাই নয় বরং দেশের বিভিন্ন জেলায় এ ফুলের চাহিদা হয়েছে ব্যাপক। ফলে দেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী, কুমিল্লা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলায় এ ফুল বিক্রি করে থাকেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।
জামগ্রামের গৃহবধূ রেখা বেবি ও জেলেখা জানান, আমরা বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসারে সচ্ছলতার জন্য এ ফুল বানানোতে মনোনিবেশ করি। প্রতিদিন সাংসারিক কাজকর্মের পাশাপাশি অবসর সময়ে ফুল বানিয়ে থাকি। এফুল আমাদের স্বামীরা বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন। এতে করে সংসারে বাড়তি আয় হয়। যা দিয়ে আমরা স্বাবলম্বী হতে পারি এবং সংসারেও কোন অভাব থাকে না। ওই গ্রামের ফুল বিক্রেতা শাহার আলী বলেন, আমরা কাগজের তৈরি এ ফুল দেশের প্রায় সব জেলাতেই বিক্রি করে থাকি। বিশেষ করে যখন যেখানে মেলা বা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সে সব স্থানে আমাদের এ ফুল সর্বাধিক বিক্রি হয়ে থাকে। এ জন্য কোন জেলার কোথায় কোথায় কোন তারিখে মেলা বা উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আমরা আগাম তা সংগ্রহ করে থাকি। আর সে অনুযায়ী ওই সব মেলা ও উৎসবের পূর্বেই আমরা এ ফুল নিয়ে সেখানে পেঁৗছে যাই।
তিনি বলেন, ব্যবসা যদিও লাভজনক তার পরেও জীবনের যথেষ্ট ঝুঁকি নিয়ে আমাদের এব্যবসা করতে হয়। স্বল্প খরচে সেই চট্টগ্রাম, সিলেট, নোয়াখালী বা কুমিল্লায় যাওয়ার জন্য আমরা বিলাসবহুল কোন গাড়িতে যেতে পারি না। অনেক সময় খরচ বাঁচানোর জন্য আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাসের ছাদে বা ট্রাকে চড়ে গন্তব্যস্থলে যাই। ওই গ্রামের আরেক ফুল ব্যবসায়ী বলেন, এ ফুল বিক্রি করে অল্প সময়ে অনেক আয় করা যায়। এসব ফুল বানানোর জন্য নাম মাত্র মূল্যে আমরা পুরাতন কাগজ ক্রয় করে থাকি। বিভিন্ন রঙ দিয়ে তা রঙিন করে ফুল বানানোতে যে ব্যয় হয় তার তুলনায় আয় হয় অনেক বেশি। ফলে অল্প সময়েই সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়।