19 Agrohayon 1431 বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / স্বাস্থ্য / নওগাঁয় ১২০ ডাক্তার, ৫৬ নার্সের পদ শুন্য, ৮ এ্যাম্বুলেন্স বিকল, ২৭ লাখ মানুষের প্রকট চিকিৎসা সংকট

নওগাঁয় ১২০ ডাক্তার, ৫৬ নার্সের পদ শুন্য, ৮ এ্যাম্বুলেন্স বিকল, ২৭ লাখ মানুষের প্রকট চিকিৎসা সংকট

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় ডাক্তার, নার্স, এ্যাম্বুলেন্স, যন্ত্রপাতি আর প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সংকটে ২৭ লাখ মানুষের চিকিৎসায় প্রকট সংকট দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে জরম্নরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন শহরের সচেতন মহল। জেলা সদরে অবসি’ত আধুনিক হাসপাতাল ৫০ শয্যা থেকে ১শ’ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে দীর্ঘদিন পূর্বে। কিন’ ডাক্তার, নার্সের সংখ্যা বাড়েনি। আসেনি নতুন যন্ত্রপাতি। সুতরাং পুরানো গুলোই একমাত্র ভরসা। এখানে ডাক্তারের পদ রয়েছে ২১টি। কিন’ আবাসিক ডাক্তার ও ৩ বিশেষজ্ঞ সহ ৫টি পদ শুন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। নার্স ৮৮ জনের মধ্যে আছে মাত্র ৩২ জন। ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্ন্লক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছে। কিন’ সেগুলোতেও বাড়েনি কোন সুযোগ সুবিধা। উন্নীত ধামইরহাট ও বদলগাছী উপজেলায় ১১টি করে, মান্দা উপজেলায় ১০টি, মহাদেবপুর উপজেলায় ৯টি, এবং পত্নীতলা ও সাপাহার উপজেলায় ৮টি করে ডাক্তারের পদ শুন্য রয়েছে। এছাড়া ৩১ শয্যার নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০টি, আত্রাইয়ে ৮টি, পোরশায় ৫টি ও রানীনগরে ৩টি ডাক্তারের পদ খালি আছে। ১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও পত্নীতলা ছাড়া আর কোন উপজেলায় কোন রকম অপারেশন করা হয়না। এ গুলোতে গাইনী, অর্থ্রোপেডিক ও সার্জারী বিষয়ে ১৫ জন সার্জন ও ১২ জন এনেসে’টিষ্টের পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র ৩জন সার্জন ও ২ জন এনেসে’টিষ্ট। অভিযোগ রয়েছে এরা হাসপাতালের চেয়ে বাহিরের প্রাইভেট ক্লিনিক গুলোতেই বেশী সময় কাটান। হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা সদর হাসপাতালেও তেমন পাওয়া যায়না। আক্রান্ত রোগীরা হাসপাতালে এলেই তাদের তড়িঘড়ি করে রাজশাহী অথবা বগুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ফলে পথিমধ্যেই অনেকের মৃত্যু হয়। হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে একটি মাত্র ইসিজি মেশিন থাকলেও তা চালানো হয়না ঠিকমত। এর জন্য প্রয়োজনীয় ইকো বা এনজিওগ্রামের কোন যন্ত্রপাতি এখানে নেই। এছাড়া জীবন রক্ষাকারী চিকিৎসা সহায়ক উপকরনের মধ্যে এক্সরে মেশিন, লেবুলাইজার, সুকার মেশিন, মাইক্রোস্কোপ, এ্যাম্বুলেন্স ও জেনারেটরের পরিসি’তিও অত্যন- নাজুক। সদর হাসপাতালে রয়েছে মাত্র ১টি এক্সরে মেশিন। সেটিও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মাঝে মধ্যেই বন্ধ থাকে। উপজেলা গুলোর এক্সরে মেশিন বিনষ্ট হয়ে পড়ে আছে। জেলা সদর ও ১০ উপজেলায় মোট এ্যাম্বুলেন্স বরাদ্দ ১৭টি। কিন’ ৮টি এ্যাম্বুলেন্স দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে আছে। নিউমোনিয়ায় আক্রান- শিশুদের চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতাল ও স্বাস’্য কমপেস্ন্লক্সে ব্যবহৃত লেবুলাইজেশন মেশিনের মধ্যে ৯টি নষ্ট। ১১টি জেনারেটরের মধ্যে সব গুলোই নষ্ট। দীর্ঘদিন ধরে এসব উপকরণ নষ্ট হয়ে থাকলেও মেরামতের কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি । এ ব্যাপারে নওগাঁর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ আহমেদ হোসেন খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি স্বাস্থ্য সেবার দৈন্যতার কথা স্বীকার করে জানান, সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনেকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন’ কোন কাজ হয়নি।#

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় করোনা ভাইরাসে আরও ১ জনের মৃত্যু ঃ সর্বমোট মৃত্যু ২২ জনঃ নতুন আক্রান্ত ১০ জন ঃ সর্বমোট আক্রান্ত ১৩৭৪

এন বিএন ডেক্সঃ নওগাঁ জেলায় নতুন করে ১০ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আরও …