নওগাঁর মান্দায় বাস-সিএনজির সংঘর্ষে ৩ যাত্রীর দাফন ও দাহ সম্পন্ন

এন বি এন ডেক্সঃ নওগাঁর মান্দা উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কে সবরিতলা নামক স্থানে বাসের চাপায় অবসর প্রাপ্ত জনতা ব্যাংক কর্মকর্তা কমলেন্দু সরকার (৬২), তার স্ত্রী কনিকা রানী সরকার (৫০) ও মশিউর রহমান রতন (২৮) নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে এই দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত কমলেন্দু সরকার ও তার স্ত্রী কনিকা রানী সরকারের বাড়ী নওগাঁ শহরের কালিতলা মহল্লায় এবং মশিউর রহমানের বাড়ী শহরের পার-নওগাঁ বয়েজ হোম মহল্লার অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আনিছুর রহমানের একমাত্র পুত্র। সে ন্যাশনাল হোমিও ড্রাগ কোম্পানীতে সিনিয়র অফিসার হিসাবে চাকুরী করত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কমলেন্দু সরকার ও তার স্ত্রী কনিকা রানী সরকার এবং বতন সহ একটি সিএনজি (নম্বর অস্পষ্ট) যোগে মান্দা থেকে নওগাঁ আসছিলেন। এসময় নওগাঁ থেকে রাজশাহীগামী একটি দ্রুতগামী যাত্রীবাহী বাস তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে সিএনজিটি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস’লেই ওই তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়। মান্দা থানার পরিদর্শক (তদনত্ম) মোসত্মফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস’লে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। তবে, সিএনজি চালককে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। রবিবার সকালে শহরের কালীতলায় তার নিজ বাসভবনে এসে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্বামী স্ত্রীকে এক নজর দেখার জন্য অসংখ্য আত্নীয় স্বজন এলাকার মানুষরা ভীড় করতে থাকে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তাদের কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। নিহত কমলেন্দু ও কনিকা রানী সরকারের ২ মেয়ে রিকতা রানী সরকার বিবাহিতা ও রাখী রানী সরকার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে পড়াশুনা করে এবং ১ ছেলে কাঞ্চন সরকার নির্বাচন অফিসে চাকুরী করে। বেলা সাড়ে ১১টায় নওগাঁ মহাশ্বশানে স্বামী ও স্ত্রীর অন-ষ্টী ক্রিয়া সম্পন্ন করে। মশিউর রহমান রতন বাবার একমাত্র স্থান এবং অবিবাহিত। তার দুই বোন। অফিসের কাজ সেরে বাড়ী আসার পথে এ দূর্ঘটনা ঘটে। রতনের লাশ বাড়ী এসে পৌছলে তাকে এক নজর দেখার জন্য অসংখ্য আত্নীয় স্বজন এলাকার মানুষরা ভীড় করতে থাকে। কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কান্নায় এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। নিহত রতনের প্রথমে পার নওগাঁ বয়েজ হোম পাড়ায় নামাজে জানাজা ও তার গ্রামের বাড়ী বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলার তিলছ গ্রামে ২য় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে।