6 Boishakh 1431 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় অবহেলায় মরিচা ধরে যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে!

ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় অবহেলায় মরিচা ধরে যন্ত্রপাতি নষ্ট হচ্ছে!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি চালু করা উদ্যোগ নেওয়া হলেও এখনো তা দীর্ঘদিনেরও বাস-বায়ন হয়নি। এতে নতুন যন্ত্রপাতি এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক যন্ত্রপাতিতে মরিচা ধরেছে। ফলে প্রায় ২ কোটি টাকা গচ্চা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে।
১৯৭৭-৭৮ সালে আরডিআরএস ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানাটি স্থাপন করে। তখন থেকে ঠাকুরগাঁও পঞ্চগড় দিনাজপুর অঞ্চলে রেশম চাষ শুরু করে চাষিরা। পরে কারখানাটি রেশম বোর্ডের কাছে হস-স্থানান্তর করা হয়। কারখানাটি আধুনিকীকরণ করে ১৯৯৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর কাজ শেষ করে উৎপাদনে যাওয়ার কথা ছিল কারখানাটির। আধুনিকীকরণের জন্য ব্যয় হয় প্রায় ২ কোটি টাকা। ঐসময় বছরে ঠাকুরগাঁও রেশম কারখানায় ১ লাখ ৬৯ হাজার মিটার উন্নতমানের রেশম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ধার্য হয়। কিন’ মিলটি আর চালু করা হয়নি। কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে স’াপিত এই কারখানাটি অর্থহীন হয়ে পড়ে। এক সময় মিলের মোট লোকসানের পরিমাণ দাড়ায় প্রায় ৬ কোটি টাকা। জোট সরকার ২০০২ সালের ৩০ নভেম্বর এই লোকসানের অজুহাতে কারখানাটি বন্ধ ঘোষনা করে। বেকার হয়ে পড়ে কারখানার শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। অসহায় হয়ে পড়ে জেলার প্রায় ৭ হাজার রেশম চাষী। বর্তমানের মিলের যন্ত্রপাতিতে মরিচা ধরছে ও প্রায় নষ্ট হওয়ায় উপক্রম হয়েছে।ঠাকুরগাঁও রেশম বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, বছর খানেক আগে সরকার এই কারখানাটি চালু করা হবে বলে ঘোষনা দেয়। কিন’ এখনো চালু করা হয়নি। তিনি জানান, জেলায় প্রায় এক লাখ তুত গাছ রয়েছে। রেশম চাষী রয়েছে দেড় হাজার। জেলার রাণীশংকৈল মিনি ফিলেচার কেন্দ্রে গুটি কেনা হয়। সদর উপজেলার কোনপাড়া গ্রামের রেশম চাষী সহিদা বেগম, শরিফা বেগম ও আকচা-হাজীপাড়া গ্রামের মাজেদা বেগম জানান, তাঁরা ঠাকুরগাঁও রেশম সমপ্রসারণ অফিস থেকে অগ্রহায়নে ১০০ করে ডিম নিয়েছেন। স’ানীয় রেশম কারখানা বন্ধ থাকায় তাঁরা উৎপাদিত গুটির ন্যায্য দাম পাবেন কিনা সন্দেহ রয়েছে। বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গান্ধিবাড়ি গ্রামের আব্দুল গফুর, বেলপুকুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, রাণীশংকৈল উপজেলার বলিদ্বারা গ্রামের আব্দুল হান্নান, ভাংবাড়ির মানিক মিয়া, সন্ধারইয়ের লতিফা বেগম ও শাহানাবাদ গ্রামের আব্দুল খালেক জানান, তাঁরা অনেকদিন থেকে রেশম গুটি উৎপাদন করেন। কারখানা চালু হলে গুটির দাম নিয়ে চিন-া করতে হতোনা। তারা জানান, এনজিওদের কাছে এখন কম দামে গুটি বিক্রি করতে হচ্ছে। কারখানাটি চালু হলে গুটির ভালো দাম পাওয়া যেত। এক কেজি রেশম গুটির দাম এখন গড়ে ২০০ টাকা। ৫০ কেজি গুটি উৎপাদন করতে পারলেই কৃষক ৩ মাসে পাবে ১০ হাজার টাকা। বছরে ৪ বার গুটি উৎপন্ন করলে অনায়াসে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়।
রেশম বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, এই রেশম কারখানাটি চালু হলে রেশম চাষের সাথে যুক্ত সাড়ে ৭ হাজার চাষীর পুণরায় কর্ম সংস্থানের সূযোগ সৃষ্টি হবে। রেশম চাষীদের দাবি, সরকারি উদ্যোগে সম্ভব না হলেও বেসরকারিভাবেও যাতে এই কারখানাটি চালু করা হয়।
পানিসম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন জানান, কারখানা চালুর ব্যাপারে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে।

আরও পড়ুন...

নওগাঁর পোরশায় ডাকাতির প্রস্ততিকালে ৪ডাকাত আটক

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর পোরশায় রাস্তায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত সদস্যকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। আটককৃত ডাকাতরা …