9 Srabon 1432 বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার ২৪ জুলাই ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / রাজনীতি / কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টি’র অভ্যন-রে দ্বন্দ ও গ্রুপিং প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে

কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টি’র অভ্যন-রে দ্বন্দ ও গ্রুপিং প্রকাশ্য রূপ নিয়েছে

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় পার্টি’র রাজনীতিতে আভ্যন-রীন দ্বন্দ ও গ্রুপিং মাথা চারা দিয়ে উঠেছে। জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং দলের সদস্য সচিব সদর উপজেলা পরিষদ’র চেয়ারম্যান পনির উদ্দিন আহমেদ’র মধ্যকার সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে এ দ্বন্দ গ্রুপিং দেখা দিয়েছে। দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে নিজেদের পক্ষে রাখার টার্গেট নিয়ে বিবাদমান দু’ নেতা এখন মরিয়া হয়ে উঠেছে। এমতাবস’ায় সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৫ অক্টোবর কাউন্সিলের মাধ্যমে গঠিত জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদার হোসেন বুলু এখন বিবাদমান দু’ নেতার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। জেলা জাপার ফেমাস লিডার হিসেবে পরিচিত আবদার হোসেন বুলু যে দিকে ঝুঁকবেন তার দিকেই পাল্ল্লা ভারী হবে এমন ধারণা বাসা বেধেঁছে মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মনে।
একটি ঘনিষ্ঠ সুত্র জানিয়েছে- জাপা নেতা আবদার হোসেন বুলু এবং জেলা জাপার বর্তমান সদস্য সচিব পনির উদ্দিন আহদের মধ্যকার যেহেতু পুরাতন দ্বন্দ রয়েছে সেহেতু আবদার হোসেন বুলু জেলা জাপার আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরীর দিকেই ঝুকতে পারেন। তবে এ প্রসঙ্গে জাপা নেতা আবদার হোসেন বুলু এখনো প্রকাশ্যে মুখ খুলেননি। ফলে জেলা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে চলমান আভ্যন-রিন দ্বন্দ ও গ্রুপিং ক্রমাগত প্রকট আকার ধারণ করছে।
এদিকে- অতি সমপ্রতি জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব পনির উদ্দিন আহমেদ নিজ গ্রুপিংয়ের মহড়া দিতে গিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি মিটিং করে বিপত্তিতে পড়েছিলেন। ঐ মিটিংয়ে উপসি’ত জেলা জাতীয় শ্রমিক পার্টির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম, জেলা জাতীয় কৃষক পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা জাতীয় ওলামা পার্টির আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজার রহমান মাষ্টার সহ অন্যান্য জাপা নেতারা জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে নানান ধরণের অভিযোগ উত্থাপন করায় তিনি তোপের মুখে পড়েন।
অন্যদিকে- জেলা জাপার আহ্বায়ক সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম চৌধুরী চিকিৎসাজনিত কারণে ভারতে অবস’ান করছেন। তিনি চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে এসেই জেলা জাতীয় পার্টির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের নিয়ে মিটিং করার মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক শক্তি মেলে ধরার টার্গেট রয়েছে বলে জানা গেছে।
জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদার হোসেন বুলু জানান- মাঠ পর্যায়ের নেতারা যার দিকেই থাকবেন আমি তার দিকেই রয়েছি। এই মহুর্তে এর বেশী কিছু বলতে চাই না।
জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব পনির উদ্দিন আহমেদ বলেছেন- আমি রাজনীতি করে ভাত খাই না। রাজনীতি করে ভাত খায় তাজুল ইসলাম চৌধুরী। এই মহুর্তে উনি (আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী) আমার পদত্যাগ চাইতে পারেন। এতে আমার কিছু আসে-যায়না। রাজনীতি করতে পারলে দল অনেক রয়েছে।
জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন- আমি আহ্বায়ক এবং সমন্বয়কের দায়িত্ব পাবার পর সদস্য সচিব পনির উদ্দিন আহমেদকে মিটিং ডাকতে বলেছিলাম। উনি মিটিং ডাকেন নাই। আমাকে এতোটুকু সহযোগিতা করেন নাই। দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। বিগত পৌরসভা নির্বাচনে উনি প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করেছেন। দলীয় মেয়র প্রার্থীকে কোন রকম সহায়তা দেন নাই। উনাকে দলে রাখলে জাতীয় পার্টি ধ্বংস হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন...

নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ৭নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এন বিএন ডেক্সঃ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ৭নং শ্রীমন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিকী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার …