সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী ডিপো এলাকায় এলপিজি সিলিন্ডারের ডিলাররা সিন্ডিকেট করে রমরমা ব্যবসা শুরু করেছেন। প্রভাব ঘাটিয়ে ডিলাররা ডিপো থেকে বেশী সিলিন্ডার উত্তোলন করলেও এগুলো এলাকায় বিক্রয় করার নিয়ম থাকলেও এই নিয়ম অমান্য করে জেলার বাইরে অন্য জেলায় বিক্রয় করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিক্রয়ের তালিকা প্রদানের কথা থাকলেও তা না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে এলাকার গ্রাহকরা এই সিলিন্ডার গ্যাস প্রাপ্তিথেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাঘাবাড়ীর বিপিসির জ্বালানী তেল বিপনন কেন্দ্রের কর্মকর্তা ও সিলিন্ডার গ্যাসের ডিলারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলা মিলে (পদ্মা মেঘনা ও যমুনা) তিনটি বিপননকেন্দ্রের আওতায় প্রায় তিনশতাধিক লাইসেন্স ধারী রয়েছে। এসকল লাইসেন্স ধারীরা নিজেরা ডিপো থেকে গ্যাস উত্তোলন না করে কয়েকজনের সিন্ডিকেট করে গ্যাস উত্তালন করছে। এ জন্য লাইসেন্সধারীরা মাসিক একটি লাভ্যংশ উত্তোলন কারীর নিকট থেকে নিয়ে আসছে। এদের অধিকাংশ ডিলারদের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই নেই। ডিলারদের প্রতিমাসে জেলা উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিক্রয়ের তালিকা জমা প্রদানের কথা থাকলেও কেহই তা দিচ্ছেনা। যে কারনেই সিলিন্ডারের দাম বেড়েই চলেছে।
গ্যাস ব্যবহারকারীদের মধ্যে সিরাজগঞ্জের এমদাদুল, ওয়াসিম অভিযোগ করে বলেন, প্রতিমাসে একজন ডিলার ১০ থেকে ১৫ টি করে গ্যাস পেয়ে থাকেন সরবরাহ বেশী থাকলে তারা বেশী পেয়ে থাকেন। এ ছাড়াও বেশকয়েকজন ডিলার উর্ধতন কর্মকর্তাদের প্রভাব খাটিয়ে ডিপো থেকে অতিরিক্ত সিলিন্ডার উত্তোলন করে থাকেন। গ্যাস গুলো ডিলারদের সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিক্রয়ের কথা থাকলেও কেহই তা বিক্রয় করছেনা। আমরা গ্যাস কিনতে গেলে গ্যাস নেই বলে জানানো হচ্ছে। অথচ বাইরের জেলায় বেশী দামে তারা সরবরাহ করছে। এ কারনে এই এলাকায় লোকজন কোন সিলিন্ডারই পাচ্ছেননা।
সূত্রটি আরও জানায় প্রতিটি সিলিন্ডার বাবদ ৬ শত ৭৮ টাকা জমা দিয়ে উত্তোলন পূর্বক খোলা বাজারে বিক্রয়মূল্য ৭ শত ৫০ টাকা নির্ধারন করা হলেও বাইরে তারা বর্তমানে ১২ থেকে ১৫ শত টাকা দরে প্রতিটি সিলিন্ডার বিক্রয় করছে। বিশেষ করে অনন্যা, অহনা, ফয়সাল, আমির এন্টার প্রাইজ এর স্বত্বাধিকরীরা সহ বেশ কয়েকজন ডিলার একাধিক লাইসেন্স ম্যানেজ করে এই ব্যবসা পরিচালনা করছে।
এ বিষয়ে স’ানীয় ডিলার মোঃ আমির হোসেন জানান, ভাগে যে কয়টি সিলিন্ডার পাই সেগুলোই উত্তোলন করি। কয়েকজন আমার কাছে লাইসেন্স দিয়ে যাওয়ায় তাদের লাইসেন্সে সিলিন্ডার উত্তোলন করে তাদেরকে দিয়ে থাকি। অনেকে ক্ষমতাশালী ডিলার ডিপোতে প্রভাব খাটিয়ে বেশী গ্যাস উত্তোলন করতে পারলেও আমি কোনদিন পারিনি। বাইরের জেলায় চাহিদা বেশী থাকায় বেশীর ভাগ বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। স্থানীয়দের কাছেও বিক্রয় করা হয়। বর্তমানে কম সরবরাহ পাওয়ায় দাম কিছুটা বেশী হয়েছে। প্রশাসনের কাছে প্রতিমাসে রির্পোট প্রদানের বিষয়ে বলেন, এরর আগে চাওয়া হয়েছিলো। এখন চাপ না দেয়ায় প্রদান করা হয়না। চাইলে দেয়া হবে।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন জানান, গত এক বছরে কোন ডিলারই কোন প্রতিবেদন জমা দেয়নি। কোথাও কিভাবে বিক্রয় করছে এধরনের কোন হিসাব নিকাশ বর্তমানে নেই। তবে অচিরেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে বিক্রয়মূল্য নির্ধারন সহ লাইসেন্স ধালীর সংশ্লিষ্ট এলাকায় বিক্রয় করার জন্য ডিলারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থ্য গ্রহন করা হবে।
Home / ক্রাইম নিউজ / এলজিপি গ্যাসের ব্যবসা সিন্ডিকেটের হাতে, বেশী দামে বাইরে বিক্রি, সরকারী বিধি লংঘন, ডিলাররা প্রভাব খাটিয়ে অতিরিক্ত গ্যাস নেয়ার অভিযোগ
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় নিখোঁজের ৭ দির পর মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে সাকিব হোসেন (১৫) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ …