15 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / ৪০ বছরে নিহত ১০ আহত ২ শতাধিক পীরগঞ্জে হরিণ শিং দিঘীর আধিপত্য নিয়ে আবারও উত্তেজনা

৪০ বছরে নিহত ১০ আহত ২ শতাধিক পীরগঞ্জে হরিণ শিং দিঘীর আধিপত্য নিয়ে আবারও উত্তেজনা

পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের পীরগঞ্জে “হরিণ শিং” দিঘীর আধিপত্ব নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আবারও উত্তেজনাকর পরিসি’তির সৃষ্টি হয়েছে । যদিও ইতিপুর্বে দীঘিটির আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে গত ৪০ বছরে অন-ত ১০ জন নিহত ও ২ শতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়েছে ।
বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে উপজেলার ৭ নং বড় আলমপুর ও ১৪ নং চতরা ইউনিয়নের প্রায় ১১ একর জমির উপর এই দিঘীর অবস্থান। প্রায় অধ শত বছর ধরে চতরা ইউনিয়নের মায়াগাড়ি ও বড় আলমপুর ইউনিয়নের বড় আলমপুর গ্রামবাসীর মধ্যে উক্ত হরিণ সিং দীঘির দখলদারিত্ব নিয়ে বিরোধ চলছে। চতরা ইউনিয়নের ১’শ দল নামে অভিহিত ময়াগাড়ি গ্রামের ভুমিহীন সমিতিরি সাথে পার্শ্ববর্তী বড় আলমপুর ইউনিয়নের ২৪ দল নামে পরিচিত অপর একটি সমিতির এ নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষও হয়েছে। ওই দিঘির কর্তৃত্ব নিয়ে এ দু’দলের সংঘর্ষে এ যাবৎ ১০ জন নিহত হয়েছে এবং ২ শতাধিক মানুষ আহত কিংবা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। এ এলাকার অনেকেই তাই ওই দিঘীটির নাম দিয়েছে “অভিশপ্ত হরিণ শিং দিঘিী”।
সর্ব শেষ ২০০৯ সালের মাঝামাঝি এ দিঘীর কর্তৃত্ব নিয়ে এক সংঘর্ষ ঘটে। এতে ৪ ব্যক্তি নিহত এবং অর্ধশতাধিক ব্যাক্তি আহত হয়, যা পীরগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় ঘটনা। স্বাধীনতার পর এ উপজেলায় কোন সংঘর্ষে এক সাথে এতো লোকের প্রাণহাণির ঘটনা আর ঘটেনি। স্মরনকালের ভয়াবহ ও নৃশংস হামলায় নিহতদের পরিবার ও স্বজনদের আহাজারি আজও থামেনি। সংসারে উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তি নিহত হওয়ায় তাদের স্ত্রী সনত্মানরা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার প্রাণান-কর লড়াই চালাচ্ছে। এ লড়াই তারা কতদিন চালাতে পারবে তা সময়ই বলে দেবে। লোমহর্ষক ওই সংঘর্ষে যে ৪ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়, তারা হলেন-মায়াগাড়ি গ্রামের মৃত কপিল উদ্দিনের পুত্র আব্দুল কুদ্দুস (৪৫), মৃত ইউসুফ আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম (৩০), ছয়েছ উদ্দিনের পুত্র সাইদুল ইসলাম (৪০) ও আব্দুস সামাদের পুত্র রেজওয়ান (৩০)।
ঘটনার রাতে পাহারারত ঘুমন- ১’শ দলের উপর ২৪ দলের লোকজন ভাড়াটে কিছু পেশাদার সন্ত্রাসী নিয়ে অতর্কিত তাদের উপর লোমহর্ষক হামলা চালায়। এতে অনত্মত ৫০ জন আহত হয়। আশংকাজন অবস’ায় রাতেই ১২ জনকে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার উল্লেখিত ৪ জনকে মৃত ঘোষনা করেন। এক সময় দীঘির পাড়ে জমজমাট বাজার ছিল। দোকানপাটে ছিল ভরপুর। দিবারাত্র ওই এলাকা লোকজনের পদভারে মুখরিত ছিল। দাঙ্গা-হাঙ্গামার কারণে বর্তমানে ওই এলাকা বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। দিনের বেলাতেও চারিদিকে শুনশান নিরবতা। কোথাও কোন জন মানুষের সাড়া শব্দ নেই। রোজ সন্ধ্যার পর তা নির্জন ভুতুড়ে মৃতঃপুরীতে পরিণত হয় । তার পরেও অদ্যবদি উক্ত দীঘি নিয়ে আজও কোনও স’ায়ী সমাধান হয়নি , দু‘ পক্ষের মাঝে প্রতিহিংসা অব্যাহত রয়েছে এবং ক্রমেই তা ঘনিভুত হচেছ । সার্বিক এ পরিসি’তিতে এলাকার অনেকেই পুনঃরায় সংঘর্ষের আশংকা করছেন ।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত

নওগাঁ প্রতিনিধিঃ “সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বিনির্মাণে-মান”এ প্রতিপাদ্যে নওগাঁয় বিশ্ব মান দিবস পালিত হয়েছে। …