মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঢাকা থেকে: প্রিয় মেঘ, বড় অসময়ে তোমার জীবনে সবচেয়ে বড় সাইক্লোন এসে আগামী ভবিষ্যৎ অন্ধকার মেঘে ঢেকে দিল। খুনীরা নৃশংসভাবে হত্যা করলো তোমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় দু’টি মানুষকে। রক্তাক্ত হলো তোমার শোবার ঘর। চোখের সামনে অমানুষগুলো সমাজের দুটি প্রিয় মানুষের জীবনকে কুচিয়ে কুচিয়ে হত্যা করলো। যারা ঠান্ডা মাথায় এই কাজটি করেছে, তারাও তো কোন না কোন মায়ের সন-ান। তাদের হৃদয়ে একবারও কি তোমার কথা স্মরণ হয় নি। তাদের ভোতা অনুভুতিতে মনে হয়নি কেমন হবে তোমার আগামী ভবিষ্যৎ। তরুন মেধাবী নির্ভিক সাংবাদিক দম্পতির এই অপ্রত্যাশিত চলে যাওয়া কেউ মেনে নিতে পারে নি, কোনদিন মানতেও পারবেনা। তোমার জন্য ষোল কোটি মানুষের হৃদয়ে রয়েছে অজস্র ভালবাসা আর ঘাতকদের জন্য শুধুই ঘৃনা আর ঘৃনা।
বাংলাদেশের বিবেকবান প্রতিটি মানুষ ঘর থেকে রাজপথে এসে এই নৃশংস হত্যাকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। তারা রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’র ঘোষনায় খুনিকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খুজে বের করা হবে, এ কথা বিশ্বাস করতে রাজী নয়। যে কাউকে সামনে উপস’াপন করে যদি বলা হয়, এরাই সাংবাদিক দম্পতির খুনী। তখনই জাতির বিবেক, সাংবাদিকরা নিশ্চয়ই সঠিক তথ্য উপাত্ত না পেলে তখন ঐ রাষ্ট্রের ঘোষিত খুনির যাবতীয় তথ্য সংবাদপত্রের নির্ভিক কর্মীরা খুজে বের করে প্রকাশ করবে। যেমন এই হত্যার প্রতিবাদে সারা বাংলাদেশের সকল প্রানে-র কলম সৈনিকরা রাজপথে প্রতিবাদে মুখরিত ছিল। প্রিয় মেঘ, আমরা তোমার প্রিয় আব্বু-আম্মুকে আর ফেরৎ দিতে পারবো না, কিন’ রাষ্ট্র যদি সঠিক তথ্য না দিয়ে, প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার না করে পরিসি’তি শান- করতে, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তা হলে আমরা কেউ ঘরে বসে থাকবো না। প্রতিদিন তোমার মত অনেক শিশু তাদের প্রিয় মানুষ গুলোকে হারাচ্ছে, হচ্ছে এতিম। তাদের অনেকের কথা কেউ জানে না। তুমি তোমার অসহায় দৃষ্টি দিয়ে সকল হত্যাকান্ডের ‘প্রতিবাদের প্রতীক’ হয়ে মানুষের বিবেক কে জাগিয়ে তুলেছো। এখনো ফরহাদ দম্পতির রক্তের দাগ শুকায়নি, নির্যাতিত মানুষগুলো চিৎকার করে বলছে “জাতির বিবেক” তোমাদের কলম আর যেন কোন কিছুর বিনিময়ে মাথা নিচু না করে। মেঘের জন্য আমাদের সকলের ভালবাসা আর সাগর-রুনির জন্য আমাদের অনেক অনেক শ্রদ্ধা।