এনবিএন ডেক্স: মান্দা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের মোট ৬৫,০০০ হাজার চাষীর মধ্যে ৫৪হাজার ৬শত ৭৫ জন নিজস্ব চাষী। বাকি ১০হাজার ৩শত ২৫ জন বর্গা চাষী রয়েছে। মান্দার চাষীরা আজ চরম ভাবে নির্যাতনের স্বীকার হয়ে অসহায় অবস’ার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। ধান,গম, ভুট্টা,আলু,পেয়াজ, রসুন, সরিষা, ডাল, শাকসবজি সবকিছুই দাম কমে যাওয়ায় চরম বিড়ম্বনার স্বীকার হয়ে পড়েছে কৃষকরা। ধানের দাম ৫০০টাকা থেকে ৬৫০টাকা যেটা উৎপাদনী ব্যায় অপেক্ষা কম। ২ মণ ধানের দাম দিয়ে ১ বস-া সার কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। ১ মণ ধান বিক্রি করেও একটু ভালো মানের শাড়ি মিলছেনা কৃষনীদের ভাগ্যে।এটা নিয়ে কৃষক পরিবারে বাগবিতন্ডা পারিবারিক কলহ নিত্য চলতে থাকে। পারিবারিক ভরন পোষণ যোগাতে না পারায় পারিবারিকভাবে নির্যাতন হচ্ছে কৃষকরা। উঠতি মৌসুমে ফড়িয়াদের করলে পড়ে তারা বাজারে ন্যায্য মূল্যও পাচ্ছেনা। সরকারী গুদামে বিক্রি করেত গেলে ও মিটার শো করাতে হবে, ওজনে বেশী দিতে হবে কতৃপক্ষকে খুশি করতে নগদ প্রদান করতে হয়। এটাও কৃষক নির্যাতনের আওতায় পড়ে না কি?। আমনের লোকসান গলায় ঝুলিয়ে নিয়ে ইরি বোরো চাষে হাত দিতে গিয়েই ইউরিয়া সারের বস-া ৬০০ থেকে ১০০০হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তেলের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুতের লোড শেডিং নির্যাতন চলচ্ছে বিরতিহীন ভাবে। মান্দা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় এ বছরে মান্দায় ইরি বোরো চাষে লক্ষমাত্রা ধায্য করা হয়েছে ২১হাজার ৫শত ২৫হেক্টর জমিতে। সেখানেও পানি সেচের নির্যাতন চলছে কৃষদের উপর। বিঘা প্রতি ৫০০টাকা থেকে শুরু করে ৪,০০০হাজার টাকা পযনর্- পানি সেচ খরচ দিতে হচ্ছে সেচ পাম্প মালিকদেরকে । অন্যদিকে বি,এম,ডি,এ কতৃপক্ষ থেকে কৃষক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে মান্দা বি,এম,ডি,এ সহকারী প্রকৌশলীর সাথে দেখা করার জন্য একধিকবার গিয়েও দেখা পাওয়া যায়নি। বি,এম,ডি,এ মান্দার স্টোরকিপারের নিকট সহকারী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলার জন্য মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি জানান “স্যারের মোবাইল ফোন নাম্বার আমাদের দেন নাই ওটা ওনার ব্যক্তিগত নাম্বার প্রয়োজনে টেলিফোনে যোগাযোগ করার জন্য বলেছেন”। টেলিফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি। একটি নিভরযোগ্য সূত্র থেকে জানা যায় ৪শত ৬৪টি ডিপটিউবয়েলে ৬৪টি ব্যক্তিগত গভীর লনকুপ ৪হাজার৭শত ৭৭ এস,টি,ডাব্লিউ,ডিজেল চালিত ১হাজার৪শত ৫০টি, এল,এল,পি বিদ্যুৎ চালিত ৯৮টি ডিজেল চালিত ১ শত ৩৬ টি বলে জানা যায়। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চালিত গভীর অগভীর প্রায়সব গুলোতেই সরকারী বিধিমালা লঙঘন করে ম্যানেজার নামের ব্যক্তিদের মাধ্যমে চলছে নির্যাতন। ঘন্টা ভিত্তিক পানি সেচ না দিয়ে বিঘা প্রতি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে সর্বত্রই। প্রানি-ক কৃষকরা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের জমিতে পানি সরবারাহ বন্ধ করে নির্যাতন করা হয়। এছাড়া নষ্ট মটর বা পুড়ে যাওয়া মটর অফিসে জরুরী বদল বা মেরামত করতে আসলে সেলামি না দিলে ২ থেকে ৩ সপ্তাহ কাটিয়ে দেন বিভিন্ন অজুহাতে। পাশাপাশি বন্যা, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি পোকামাকড়ের অত্যাচার হালের বলদ চুরির মত এ সমস্যা গুলো পৈত্রিক ভাবেই চলে আসছে কৃষকদের ভাগ্যে। এটাও কি কম নির্যাতন? কৃষকের অবস’া “কারো পোষ মাস, আবার কারো সর্বনাশ” তাই মান্দার অসহায় কৃষদের বাঁচাতে চলতি ইরি বোরো মৌসুমের অতিরিক্ত পানিসেচের আদায় কারী বি,এম,ডি এর সেচ যন্ত্রের স’ানীয় ভাবে নিয়োগ কৃত ম্যানেজার ও মালিকানা সেচ পাম্প যন্ত্রের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস’া নেওয়ার মাধ্যমে কৃষক নির্যাতন বন্ধের দাবী জানিয়েছেন মান্দার কৃষকরা। বিষয়টি জরুরী ভাবে সুষ্ঠু তদন- সাপেক্ষে শাসি- মূলক ব্যবস’া নেওয়া সংশ্লিষ্টি কর্তৃপক্ষের আশু প্রয়োজন বলে সুধী মহল মনে করেন।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …