পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার নার্সদের স্বেচ্ছাচারিতা দূর্নীতি চরমে। প্রসূতি মায়েরা ডেলিভারী অথবা সিজারে সন-ান প্রসাবের জন্য হাসপাতালে যেতে নারাজ। ডাক্তার তাদের নিজেদের ইচ্ছা মতো চলা ও বিভিন্ন খামখেয়ালীপনা করা এটা বিভিন্নজনের দীর্ঘ্য দিনের অভিযোগ। মাঝে মাঝে স্থানীয় সাংসদের হস-ক্ষেপে কয়েকদিন খুব ভলো ভাবেই সার্ভিসদের তারা। তিনি বেশ কয়েকজন ডাক্তারকে সতর্ক করে দিয়াছেন। কিন’ কয়েকদিন পরে যেন তারা সব কিছু ভুলে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও নার্সদের অনিয়মের অভিযোগ এনে জাতীয় মানবাধিকার ইউনিটির মঠবাড়িয়া সমন্বয়কারী সাইদুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঠবাড়িয়া হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারী রোগী আসলে ডাক্তার ও নার্সেরা স্যালাইন দিয়ে রোগীদের শরীরের পানি বের করে দেয়। পরে রোগীদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজার করার পরমর্শ দিয়ে পাঠিয়ে দেয় এবং ওই ক্লিনিক থেকে তারা কমিশন গ্রহন করেন। মানবাধিকার কর্মী সাইদুর রহমান আরো অভিযোগ করেন তার স্ত্রী খাজিদা বেগমকে গত ১০ জানুয়ারী রাত ৯ টায় নরমাল ডেলিভারীর জন্য হাসপাতালে ভর্তি করান। তখন কর্তব্যরত ডাক্তার জানান ভোর ৫টার দিকে রেগীর নরমাল ডেলিভারী হবে। তখন তার শরীরে পাইপ ঢুকিয়ে শরীরের পানি বের করে ফেলে। রাত ১২ টার দিকে রোগী ভীষণ অসুস’ হয়ে পরে। তখন সাইদুর রহমান কর্তব্যরত ডাক্তার ও নার্সদের কাছে বার বার অনুরোধ করার পরেও কোন ডাক্তার বা নার্স গুরুত্ব দেয় নি। পরবর্তীতে ডিউটি বিহীন নার্স স্বরস্বতী রানীকে ডেকে আনে। তিনি রোগীর অবস’া খারাপ দেখে কর্তব্যরত ডাক্তরকে অবহিত করেন তখন ওই ডাক্তার একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে সিজার করার পরামর্শ দেন। সাইদুর রহমান ওই ডাক্তারকে তার পরিচয় দিলে ডাক্তার তার কাছে ক্ষমা চায়। খোজ নিয়ে জানাযায়, ডাক্তারেরা এ ধরনের হয়রানী প্রায় সব রোগীদের ক্ষেত্রে করে থাকে। প্রসুতী মায়েদের ব্যাপারে ডাক্তারদের বিভিন্ন অনিয়ম এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম দীপু জানান, প্রসূতি মায়েদের সেবা/সিজার করার মতে মোটামুটি আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকলেও এই হাসপাতালে এ্যানেসি’য়া (অজ্ঞান) কারার ডাক্তার নেই। যার ফলে রোগীদের বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি জানান এ বিষয়টি স্থানীয় এমপি মহোদয় অবগত আছেন। এ প্রতিনিধি আপনার এখানকার ডাক্তার বিভিন্ন ক্লিনিকে সিজার করে থাকেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, তারা বিভাবে সিজর করেন আমার জানা নাই। হয়তো তারা ঝুকি নিয়ে করেন অথবা ক্লিনিকে অজ্ঞান কারার ডাক্তার আছে। এব্যাপারে সাংসদ আলহাজ্ব ডাঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন জানান সারা বাংলাদেশে অজ্ঞান (এ্যানেসি’য়া) ডাক্তার খুব সংকট। আমি মঠবাড়িয়া হাসপাতালের জন্য উপরোস’ মহলে ওই ডাক্তারের জন্য আবেদন করেছি। বিভিন্ন ক্লিনিকে মঠবাড়িয়া স্বাস’্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের সিজার করে থাকেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এগুলো সুম্পূর্ন অবৈধ। তারা অত্যান- ঝুকি নিয়ে এ কাজ করে থাকেন। সাধারণ মানুষ মনে করেন হাসপাতালের ডাক্তারই বিভিন্ন ক্লিনিকে অপারেশন করে থাকেন। কিন’ সরকারের ডিউটির সময় তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখায়। সাধারণ মানুষ মনে করেন ক্লিনিকের মতো হাসপাতালেও যদি তারা এ সেবা প্রদান করতেন তা হলে অর্থনৈতিক সুবিধা পেত সবাই। একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে প্রসুতি মায়েদের সিজার করাতে কমপক্ষে ১০/১৫ হাজার টাকা খরচ হয়।
Home / সারাদেশ / বরিশাল / প্রসুতি মায়েরা হাসপাতালে যেতে চাইতেছে না মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারদের দূর্নীতি চরমে
আরও পড়ুন...
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে অসুস’ ২
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর থেকে ভাণ্ডারিয়া আসার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পরে অসুস’ হয়েছে ২জন। …