এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর নিয়ামতপুরের কৃষকরা বিপুল আগ্রহে বোরো চাষের জন্য নিয়ে মাঠে নামলেও ঘন ঘন লোড শেডিং এর কারণে হতাশ হয়ে পড়েছেন। বিএমডিএর গভীর নলকূপগুলো বিদ্যুৎ সকটের কারণে দিনের বেশীর ভাগ সময় বসে থাকে। ফলে চাহিদা মত পানি সেচ দিতে না পারায় বোরো ধান রোপনের জন্য জমি তৈরী করা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সেই সংগে বিদ্যুতের লুকোচুরিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও। মৌসুমের শুরুতেই ঘন ঘন লোডশেডিং এ কৃষকরা কিছুটা হতাশ হয়েছেন। উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের টগরইল গ্রামের কৃষক আশরাফুল জানান, এবার তার তিনি ৫ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন। এ জমি তৈরীতে তার পানির প্রয়োজন ১০/১২ ঘন্টা। কিন’ বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারণে ২/৩ ঘন্টা পানি সেঁচের পর বিদ্যুৎ চলে যায়। ফিরে আসে ৪/৫ ঘন্টা পর। এ দীর্ঘ সময়ে তার জমিতে দেয়া পানি শুকিয়ে যায়। এতে করে জমিতে পানির অপচয়ের পাশা পাশি খরচও বেড়ে যাচ্ছে। ঘুঘু ডাংগার গ্রামের কৃষক ইসমাইল জানান, বিদ্যুৎ এর অভাবে সেচ সংকটের কারণে সময় মত ধান রোপন সম্ভব হচ্ছেনা। অথচ ধান রোপনের জন্য ঠিক করে রাখা শ্রমিকদের বিনা পরিশ্রমেই দিতে হচ্ছে পারিশ্রমিক। একই কথা জানান এজাবুল, লতিফুরসহ আরো অনেকে। নিয়ামতপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, উপজেলার ৮ টি ইউনিয়নে এবার ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাহিদা মত বিদ্যুত প্রয়োজন। নিয়ামতপুর বরেন্দ্র বহুমূখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম জানান, এবার বোরো মোওসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সেচ সুবিধা দিতে ৫৯৬ টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। বিদ্যুতের লোড শেডিং কমিয়ে আনলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নিয়ামতপুর জোনের ডিজিএম সোহেল আকাতার জানান, নিয়ামতপুরে অবসি’ত কম ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের কারণে ফোর্স লোড শেডিং করতে হচ্ছে। এখানে আরো একটি উপকেন্দ্রের জরুরি প্রয়োজন। কৃষিবিদ ও অভিজ্ঞ মহলের ধারণা বিদ্যুতের সংকট না হলে নিয়ামতপুর উপজেলায় এবার বোরো উৎপাদনের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছড়িয়ে যাবে। #
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …