এনবিএন ডেক্স: নওগাঁ ধামইরহাট-জয়পুরহাট রাস্তায় চলাচলকারী যাত্রীদের যোগাযোগের জন্য বাস ঝঞ্ঝাট নতুন কোন ঘটনা নয়। দু’ জেলার বাস কর্তৃপক্ষের কারও সার্থে একটু আঘাত লাগলে বেধে যায় দ্বন্দ্ব। ধামইরহাট বাসী নওগাঁ জেলার অধিন হলেও জয়পুর হাট জেলার শহর অধিক নিকবর্তী হওয়া প্রশাসনিক কাজ ব্যাতীত প্রায় সকল ব্যাণিজ্যিক কার্যক্রম ঘটে থাকে জয়পুর জেলা শহরে গিয়ে। চাকুরীজীবী ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন পেশার সতকরা ৯০ ভাগই লোক বাস সার্ভিসের উপর নির্ভরশীল। নওগাঁ জয়পুরহাট (ভায়া ধামইরহাট) সরাসরি বাস সার্ভিস ছিল যাত্রীদের জন্য অত্যন- সুখপ্রদ। কিন’ দুই জেলার মটর মালিক দের স্বার্থ দ্বন্দ্বের বিনা নোটিশে হটাৎ করে প্রায়ই বন্ধ হয়ে যায় বাস সার্ভিস। আর এর কষ্টের ঘানি টেনে খেসারত দিতে থাকে যাত্রী সাধারন এবারও তার ব্যাতিক্রম ঘটেনি। প্রায় দীর্ঘ ৮ বৎসরাধিকাল হয়ে গেলে ধামইরহাট ভায়া হয়ে নওগাঁ-জয়পুরহাট বাস সার্ভীস কেন বন্ধ হল ? কখন চালু হবে যাত্রীরা তার কোনই খবর জানেন না। লাভবান স্বার্থ ছাড়া মানুষ কোন কিছু সৃষ্টিও করে না এবং ধ্বংসও করে না। মোটর মালিকদের কার ভাগে কত পড়ছে এই নিয়ে দেখা দেয় অর্থ দ্বন্দ্ব এবং এটাই রুপ নেয় অন-:দ্বন্দ্বে আর এতেই সৃষ্টি হয় যোগাযোগ দ্বন্দ্ব। ফলাফল বাস বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ সমাধানের কোন উদ্যোক্তা নেই। কতকাল এ দ্বন্দ্ব হবে তা কেই জানে না। যত দিন দ্বন্দ্ব থাকবে ততদিন মঙ্গল বাড়ী পূর্বপ্রান- থেকে পশ্চিম প্রান- পর্যন- যাত্রীদের লং মার্চ চলবেই, যাত্রীরা এটুকুই জানেন। সাধারন যাত্রীদের হাতে কিছু না কিছু পোটলা থাকেই। পোটলা নিয়ে বাস থেকে নেমেই অপর প্রানে- দৌড় হাকাতে হয় যাত্রীদের। যাদের ভারি মালামাল থাকে তাদের অবস’া হয়ে যায় বেগতিক। আর গর্ভবর্তী মহিলা হলে তো কথায় নেই। এত সব কষ্টের সব টুকু সাফল্যের দাবীদার বাস কর্তৃপক্ষ। বাস কর্তৃপক্ষের সমস্যা ৫ বৎসরের ও সমাধান হয়নি। তাদের অবহেলায় ৮ বৎসর লং মার্চ করতে হচ্ছে অসহায় যাত্রীদের। যাত্রীসেবার মানসিকতার ন্যামপ্লেট ব্যাবহার করে বিত্তবান বাস মালিকরা যাত্রীদের হয়রাণী ছাড়া আর কিছুই উপহার দিতে পাড়ছেনা। সংগঠিত বিত্তবান বাস মালিকরা অসংগঠিত যাত্রীদরে কষ্ট ও বুঝবেই বা কিভাবে। যাত্রীরা তো আর হরতাল বা যাত্রা বন্ধ করতে পারে না। সম্মানিত মালিকদের তো আর লোকাল গাড়িতে নিয়মিত চড়তে হয় না। পোটলা কিম্বা গর্ভবতী স্ত্রী-কন্যা নিয়ে তাদের চলাচলের ভাবনা নেই। তারা তো চলেন চার চাকার নরম গদির লোভনীয় শোভনীয় প্রাইভেটে যা— সাধারণের ভালোমন্দ ভাবনার সময় তো তাদের হাতে নেই। যাত্রীদের দুঃখ,কষ্ট, বেদনা সন্নিবেশিত লং মার্চের কথা সন্মানিত বাস মালিকবৃন্দ ও পরিচালক মন্ডলীরা হয়তো এক বাক্যে ঝড়ৎু বলে শেষ করে দিতে পারেন। কিন’ আরকত কাল ঝড়ৎু বলবেন। যাদের অর্থে বছর বছর মালিকরা গাড়ির বহর লম্বা করছেন খোদা সেই যাত্রীদের কথাই তাদের স্মরণে থাকে না। সংগঠিত নওগাঁ জয়পুরহাট এর বাস সমিতির মালিক শ্রমিক ও পরিচালকদের কঠোর জেদের খোরাক হয়ে অবহেলিত অসহায় যাত্রীরা লেফট করে নিরব প্রতিবাদ করে যাচ্ছে এখনও। অসহায় যাত্রীরা বাসের মধ্যে করুন আবেদনের সুরে বললেন জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলা প্রশাসক দ্বয় সহানুভূতি নিয়ে এগিয়ে আসলে যাত্রী সাধারণের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব ও অপূরণীয় প্রত্যাশা পূর্ণ হবে। বাস ভ্রমণের নির্ভর অবহেলিত যাত্রীদের আবেদন সুবিবেচনার জন্য বাস কর্তৃপক্ষ জেলা প্রশাসকদের সদয় দৃষ্টি একান- প্রয়োজন।
Home / সারাদেশ / ২ জেলার মালিক সমিতির দ্বন্দ অব্যাহত নওগাঁর ধামইরহাট-মঙ্গলবাড়ী রুটে যাত্রীদের দূর্ভোগ শেষ হবে কবে
আরও পড়ুন...
নওগাঁ সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ ফ্যাসিবাদি স্বৈরাচার প্রতিরোধ, দুর্নীতিবাজ, ভূমিদস্যু, মাদক সিন্ডিকেট, সন্ত্রাসী চিহ্নিতকরণ, সুষ্ঠু আইন শৃঙ্খলা …