সিরাগজগঞ্জের কাজিপুরে প্রচন্ড শীতে বোরো চারা ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: গত কয়েক দিনের প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশা এবং ঠান্ডাজনীত কারনে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে বোরোর বীজতলা ও শীত কালীন শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফলে আসন্ন বোরো মৌসুমে চারা সংকটের আশঙ্কায় এলাকার প্রানি-ক চাষীরা  হতাশায় পড়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে এবার ইরি-বোরো চাষের জন্য পৌর এলাকা ও ১২টি ইউনিয়নে ১৩ হাজার ১শ’ হেক্টর জমির বিপরীতে ৬শ’৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর বীজ তলা হিসাবে  চারা তৈরীর জন্য নির্ধারন করা হয়েছে। শীতকালীন সবজি টমেটো,বেগুন,মুলা,ফুল কপি-বাধাকপি, আলু ও মরিচের চাষ হয়েছিল ৯শ’ ৫০ হেক্টর জমিতে। গত কয়েক দিনের শৈত্য প্রবাহে প্রচন্ড ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় সুর্যের আলো না থাকায় প্রায় ৪শ’ হেক্টর  সবজির ক্ষেত এবং ৩শ’ হেক্টর জমির বোরো চারার ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সনে-াষ চন্দ্র চন্দ জানান, আগাম জাতের বোরো চারার তেমন ক্ষতি না হলেও হাইব্রীড এবং উপশি জাতের বোরো ধানের  চারা সুর্যের আলো না থাকায়  ঠান্ডা জনিত কারনে সাদা হয়ে গেছে। বেশকিছু বীজ তলায় চারা গজায়নি। তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের ছত্রাক নাশক লিকুইড বোরণ সেপ্র ও দস-া প্রযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। মাইজবাড়ি ইউপির বেলতৈল গ্রামের কৃষক নুরুল ইসলাম ১৫ বিঘা জমির জন্য বোরো বীজ বপন করেছিলেন। ঠান্ডা জনিত কারনে চারা নষ্ট হওয়ায় অর্ধেক জমিতেই ধান লাগানো যাবেনা বলে জানান। স’লবাড়ি গ্রামের আব্দুল মজিদ জানান তিনি ২ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছিলেন। কিন’ ভরা মৌসুমে ঠান্ডা জনিত কারনে তার ক্ষেতের গাছ মরে যাচ্ছে। এতে তার প্রায় লক্ষাধিক টাকার  ক্ষতি হবে।