নওগাঁর বদলগাছীর বালুভরা আর,বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বালুভরা আর,বি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অরুন-চন্দ্র চক্রবর্তী এর বিরুদ্ধে গত ২৯/১২/২০১১ ইং তারিখে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসারের বরাবরে একটি অভিযোগ পত্র দাখিল হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক গত ২৫শে অক্টোবর ২০১১ইং তারিখে নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে লোক নিয়োগ করা হবে মর্মে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি  প্রদান করেন। বিধি মোতাবেক ১০ জন আবেদনকারী আবেদন করেন। পরবর্তীতে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ইং তারিখে নওগাঁ জিলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০-৩০ মিনিটের সময় পরীক্ষার জন্য কার্ড ইস্যু হয়। কিন’ পরবতীতে ধার্য তারিখে আবেদনকারীরা পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে আসলে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি পরীক্ষা নিব নিচ্ছি করে কাল ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, অদ্য পরীক্ষা হবে না তোমরা চলে যাও পরবতীতে নোটীশ দিয়ে তোমাদেরকে ডাকা হবে। কিন’ ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ইং তারিখে উক্ত প্রধান শিক্ষক ঐ পদেই ২জন প্রার্থীকে পরীক্ষার ধার্য্য তারিখে উপসি’ত দেখিয়ে তাদের ছাড়া অন্যান্যদের পূন:রায় আবেদনের বিজ্ঞপ্তি দেয়। বিজ্ঞপ্তি মতে শুধু মাত্র পোষ্য কোটা সংরক্ষিত করা হয়। এ বিষয়ে অভিযোগ উঠলে প্রধান শিক্ষক পূন:রায় গত ২৯ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে সংশোধনী বিজ্ঞপ্তি দেয়। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় ঐ স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আসামী ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১২ ইং তারিখ পর্যন্ত বহাল আছে। এ কারনে তড়িঘড়ি করে নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে নিয়োগ বানিজ্যের তারা অপচেষ্টা চালাচ্ছে। জানা যায় ইতিপূর্বে গ্রন’াগারিক পদেও অনিয়ম ও দূনীতি করে নিয়োগ প্রদানের চেষ্টা করায় স্থানীয় সচেতন মহলের আন্দোলনের তোপের মুখে উক্ত নিয়োগ স’গিত আছে। গোপন সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় বিপ্লব হোসেনের নিকট মোটা অংকের টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি নিয়োগ বানিজ্যে মেতে উঠেছে। উল্লেখ্য ঐ স্কুলে কৃষি শিক্ষক পদেও লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে নিয়োগের বাণিজ্য প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদককে বলেন, নিয়োগে স্বচ্ছতা থাকলে মেধা অনুসারে আমরা কেউ না কেউ চাকুরী পেতাম কিন’ স্কুল কর্ত্তৃপক্ষ ঘুষ বানিজ্যের রশি টানা টানি করতে আমরা নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। ঐ দিন দুপুর ২টার সময় স্কুলে গিয়ে স্কুল তালা বদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে একাধিক বার সেল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা বলেন বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়াটি অবৈধ ভাবে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জোড় তদবীর চালাচ্ছে। এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান উক্ত স্কুলের নিয়োগ সম্পর্কিত একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।