8 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ২৩ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / কৃষি সংবাদ / সিরাজগঞ্জে সন্তান কৃষি বিজ্ঞানী আরিফ হোসেনের তরল সারআবিস্কারে কৃষকরা সুফল পাচ্ছে

সিরাজগঞ্জে সন্তান কৃষি বিজ্ঞানী আরিফ হোসেনের তরল সারআবিস্কারে কৃষকরা সুফল পাচ্ছে

সিরাজগঞ্জে প্রতিনিধি : গাছে পাতার মাধ্যমে তরল সার সেপ্র করে উদ্ভিদের শরীরে পৌছার কৌশল আবিস্কার হয়েছে। উন্নত দেশের  ন্যায় বাংলাদেশেও ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফসল উৎপাদণের ক্ষেত্রে এ পদ্বতিকে বৈজ্ঞানিক ভাষায় ফোলিয়ার ফিডিং বা ফোলিয়ার ফার্টিলাইজেশন বলা হয়। ফসলের পরিপুরক হিসেবে এ প্রণালীর মাধ্যমে ফসল উৎপাদনে শতভাগ সফতলা সম্ভব বলেও ধারনা করছেন উদ্ভাবকরা। এ পদ্বতির মাধ্যমে কৃষকরা সুফল পাচ্ছে বলে জানাগেছে। একৌশল অবলম্বন করলে দেশের অর্থনৈতিক সাশ্রয়সহ বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় রোধ সম্ভব। দেশে ফোলিয়ার ফিডিং বিষয়টি নিয়ে কয়েক বছর গবেষণার পর দেশের এক কৃষি বিজ্ঞানী এর অসাধারণ কার্যকারীতা সম্পন্ন লিকুইড ফার্টিলাইজার বা তরল সার উদ্ভাবন/আবিস্কার করেছেন। যার নাম দিয়েছেন তরলসার ম্যাজিক গ্রোথ। উদ্ভাবক এ কৃষি বিজ্ঞানীর নাম মোঃ আরিফ হোসেন খান। তিনি বর্তমানে রাজশাহী বিভাগীয় কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ বিপনন কেন্দ্রের যুগ্ন পরিচালক হিসেবে রাজশাহীতে কর্মরত। দেশের সকল স্থানে অত্যন্ত সহজ ভাবে পাওয়া যায় এমন ১৩টি খাদ্য উপাদানের মাধ্যমে উদ্বিদের জন্য তিনি ওই সার আবিস্কার করতে স্বক্ষম হয়েছেন। উপাদানগুলো হলো নাইট্রোজেন, ফসফরাস, পটাশ, সালফার, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, আয়রণ, জিঙ্ক, বোরণ, ম্যাঙাগানিজ, মলিবডেনাম ক্লোরিনামের সমন্ময়ে তিনি এ সার উদ্ভাবন করেছেন। সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবাদ্ধি মহল্লার কৃতিসন-ান কৃষি বিজ্ঞানী আরিফ হোসেন খান সংবাদকর্মীদের জানান তার উদ্ভাবিত ম্যাজিকগ্রোত তরল সার প্রয়োগ করে কম ইউরিয়ার সার ব্যবহার করে অধিক ফসল পাওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে তিনি বিভিন্ন স’ানে এর প্রমানও করেছেন। তার মতে আলু,সীম,ধান,পাট থেকে শুর করে কলা, পেয়ারা, লিচু, অর্কিড, ক্যাকটাস সহ বাড়ির আঙ্গীনার শোভা বর্ধনকারী সকল প্রকার গাছে এ লিকুইড সার সেপ্রর মাধ্যমে প্রয়োগ করে সমান ভাবে সুফল পাওয়া সম্ভব। এই কৃষি বিজ্ঞানী ইতোমধ্যে নিজ উদ্যোগে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, রংপুর, রাজশাশী, বগুড়া,পাহাড়ীঅঞ্চল রাঙ্গামাটিসহ গাজীপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সার প্রয়োগ করে ব্যপক সফলতা পেয়েছেন। তার উদ্ভাবিত ম্যাজিকগ্রোথ তরল সার ব্যবহারের মাধ্যমে ধানের বীজতলার চারা সুষ্ঠ ভাবে বেড় ওঠেছে। সেই সাথে বোরো মৌসুমে ঠান্ডা ও কুয়াশা জনিত  রোগেও ক্ষতি কম হয়।শুধু তাই নয় তার সারের মাধ্যমে ক্ষেতের গাছ সরল ভাবে বেড়ে ওঠে এবং শীষ অত্যন- পুষ্ট ও কাইছ থোর ফলবান হয়। এছাড়া ধান গাছের রোগ বালাই পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম হয়। তার মতে সাধারন সারের মাধ্যমে প্রতি বিঘা ধান চাষ করতে প্রায় ৪০ কেজি সার প্রয়োজন হলেও তার তরল সার মাটিতে প্রয়োগ করতে হয় ১০ থেকে ১৫ কেজি। এছাড়া পাতার মাধ্যমে মাত্র ১থেকে ২কেটিজ সেপ্র করলে সাধারণ সারের তুলনায় অধিক ফলন পাওয়া যাবে। তার উদ্ভাবিত তরল সার সম্পর্কে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক দুলাল চন্দ্র রায়(সদ্য অবসরপ্রাপ্ত) বলেন দেশে তরল ভাবে সার প্রথমবারের মতো আফি হোসেন খান আবিস্কার করেছেন এবং সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে এর প্রয়োগও করেছেন। আমি সরেজমিনে ওই সকল কৃষকদের সাথে সাথে কথা বলেছি তারা ভাল সুফল পেয়েছে। কিন’ দেশের বিভিন্ন স্থানের মাটির পরিপ্রেক্ষিতে এ সারের অরো গবেষনা প্রয়োজন আছে। জেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদ আরশেদ আলী জানান,দীর্ঘদিন গবেষনার পর একৃষি যে তরল সার আবিস্কার করেছেন সেজন্য সরকারি ভাবে তাকে সহযোগিতা করা হলে তার গবেষনা সফল হবে। এজন্য তিনি সরকারি-বেসরকারি কৃষি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তার জন্য আহবান জানান।

আরও পড়ুন...

খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে: নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী

এনবিএন ডেক্সঃ  খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে …