এনবিএন ডেক্স: গত আট দিনের টানা শৈত প্রবাহ আর কনকনে প্রচন্ড শীতে জনজীবন বিপর্যসস্থ হয়ে পড়েছে। ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে জেলার অধিকাংশ এলাকা। আট দিন ধরে জেলার কোথাও সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শহর এলাকার রাস্তাঘাট ঢেকে আছে জমাটবাধা কুয়াশায়। ঘন কুয়াশার কারনে সড়কে যানবাহন চলাচল করতে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করছে। কয়েক দিনের অব্যাহত শৈত প্রবাহের কারনে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় শ্রমজীবি-পেশাজীবি মানুষেরা পড়েছে চরম বেকায়দায়। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইয়ে বের হচ্ছেনা। নওগাঁয় তাপমাত্রা ৯ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে উঠানামা করছে। এদিকে, গত এক সপ্তাহের শৈত প্রবাহে জেলার সাপাহার উপজেলার গোয়ালা ইউনিয়নের মিরাপাড়া গ্রামের আব্দুস সামাদ (৬৫), হবিবুর রহমান (৭০), মহাদেবপুর উপজেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত-হোংলা তাঁতির ছেলে হরিপদ তাঁতি (৫৫) ও লক্ষণপুর গ্রামের মৃত ছবু প্রামাণিকের স্ত্রী চিনিমন বেওয়া (৮৫) গত ২১ ডিসেম্বর রাতে মৃত্যুবরণ করেন অপর দিকে পত্নীতলা পাটিআমলা গ্রামের রজিবের স্ত্রী জাহেরা বিবি (৫০) আগুনে শীত নিবারণ করতে গিয়ে গত শুক্রবার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গত ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় ও ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান- হয়ে সদর হাসপাতালে ১০৬ জনসহ জেলার অন্যান্য স্বাস’্য কমপ্লেক্সে আড়াই শতাধিক শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জেলা সিভিল সার্জন অফিস সুত্রে জানা গেছে। তবে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সোলায়মান আল ফারুক জানিয়েছেন, সরকারী ভাবে ঠান্ডা বা শীতজনিত কারণে মৃত্যূর কোন হিসাব তার কাছে নেই। এদিকে, জেলা ত্রান ও পূনর্বাসন অফিস সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলার ১১ উপজেলার ৩টি পৌর এলাকার শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারী ভাবে ৬ হাজার ৭৪১ পিস কম্বল বরাদ্দ এসেছে। প্রাপ্ত কম্বল গুলো ইতিমধ্যে শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে নওগাঁয় ১ হাজার পিস কম্বল, ২০০ পিস শীতবস্ত্র এবং ২৫০ পিস মহিলাদের চাদর নতুন করে বরাদ্দ এসেছে। যা বিতরণের অপেক্ষায় রয়েছে। #
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় ৯টি ককটেল ১৫ টি সাউন্ড বোমাসহ বিপুল পরিমান জিহাদী বই উদ্ধার- ৬ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁ সদরের শহরস্থ নামাজগড় মাদ্রাসা পাড়া থেকে ৯টি ককটেল, ১৫ টি সাউন্ড বোমা …