এনবিএন ডেক্সঃ শস্যভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর বরেন্দ্র অঞ্চলে চলতি রোপা আমন মৌসুমে চাষ করা সুগন্ধী আতপ ধানের ফলন বিপর্যয় ঘটেছে। ধান ক্ষেতে ক্যারেন্ট পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমণে এই ফলন বিপর্যয় ঘটেছে বলে সুগন্ধী ধানচাষীরা জানান। মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউপির ঈশ্বর গ্রামের কৃষক সরদার আলতাব হোসেন জানান, তিনি এবার ১৫ বিঘা জমিতে সুগন্ধী জামাই সোহাগা ধান চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তিনি এবার ৩-৫ মণ ধান পেয়েছেন। এতে তার উৎপাদন খরচই উঠছে না এবং প্রচুর লোকশান গুনতে হচ্ছে। পত্নীতলা উপজেলার আবু রাইহান জানান, তিনি ২২বিঘা জমিতে জামাই সোহাগা আতব ধান চাষ করেছেন। বাজার থেকে বিভিন্ন ব্যান্ডের কীটনাশক সেপ্র করেও সুফল পাননি বরং প্রায় ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে। সে বিঘা প্রতি ৫/৭ মণ হারে ধান পেয়েছেন। পোরশা উপজেলার শিরাজপুর গ্রামের কৃষক আলম আলী জানান, তিনি এবার ১০ বিঘা জমিতে সুগন্ধী ধান চাষ করেছেন। এই ১০ বিঘা জমির মধ্যে অর্ধেক জমির ধান বাদামি গাছ ফড়িংয়ের আক্রমণে নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি অর্ধেক জমিতে বিঘাপ্রতি ২/৩ মণ হারে ধান হচ্ছে। বরেন্দ্র অঞ্চলের মহাদেবপুর, সাপাহার, পোরশা, নিয়ামতপুরসহ ১১ উপজেলায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে সুগন্ধী ধান চাষ করেছেন কৃষকরা। কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বরেন্দ্র অঞ্চলের ১১ উপজেলায় এবার ৪০ হাজার হেক্টর জমিতে সুগন্ধী ধানের চাষ হয়েছে। এ অঞ্চলের সুগন্ধী আতপ ধানকাটা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসেছে। ফলন বিপর্যয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বছরের তুলনায় সুগন্ধী ধানের দামও এবার কম। এ কারণে চরম বেকায়দায় পড়েছেন সুগন্ধী ধানচাষীরা। বরেন্দ্র অঞ্চলের শিশা, শিবপুর, ছাতুনতলী ও মহাদেবপুর সদরসহ সুগন্ধী ধানের বৃহৎ হাটগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিমণ সুগন্ধী ধান ১১শ ৪০ থেকে ১১শ ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ দামে ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচই উঠছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকরা। এ ব্যাপারে কৃষি কর্মকর্তা সাহাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সুগন্ধী ধানের পোকামাকড়ের আক্রমণের কথা স্বীকার করে জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সুগন্ধী ধানের ফলন কম হচ্ছে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …