24 Chaitro 1431 বঙ্গাব্দ সোমবার ৭ এপ্রিল ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সারাদেশ / বরিশাল / টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আপন ভাই কে ধরিয়ে দিতে বোনের পুরস্কার ঘোষনা

টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আপন ভাই কে ধরিয়ে দিতে বোনের পুরস্কার ঘোষনা

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত মোসলেম মাঝীর পুত্র মোঃ মনির মাঝী তার তৃতীয় আপন বড় বোন জিয়াসমিন আক্তার এর ঢাকাস’ গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার কোনাবাড়ী কালাই ভিটার নিজস্ব বাসা থেকে নগদ ৩ লাখ টাকা নিয়ে উধাও। এ বিষয়ে ০৭ ডিসেম্বর ২০১১ তার বোন বাদী হয়ে আপন ভাই মোঃ মনির মাঝী ও মনির মাঝির ভায়রার ছেলে মোঃ আজিমকে বিবাদী করে জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। এ বিষয়ে কোনাবাড়ী ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সনজিত সরকার এর ০১৭১১৬৪০২৮৮ নং মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, “হ্যা ঘটনা সত্য, বাদীর কথিত মোতাবেক মোঃ আজিমকে আমরা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে সে (আজিম) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন উক্ত টাকা অভিযোগে বর্ণিত অভিযোগকারীণীর ভাই মোঃ মনির হোসেন নিয়ে চট্টগ্রাম গিয়েছেন বলে জানান। পরবর্তীতে প্রতি রবিবার উক্ত ইউপি কার্যালয়ে নিয়মিত হাজিরা এবং এর মধ্যে উক্ত মনিরকে টাকা সহ হাজির হওয়ার শর্তে তাকে তার বাবা-মার কাছে হস-ান-র করা হয়। তিনি আরো জানান সে নিয়মিত হাজিরা দিতেছে এবং উক্ত মনিরকে হাজির করিয়া দিতে না পারিলে আজিমের পরিবার বিষয়টি নিষ্পত্তির চেষ্টা করিবেন। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, ভাণ্ডারিয়া উপজেলার ভিটাবাড়ীয়া ইউনিয়নের উত্তর শিয়ালকাঠি গ্রামের মৃত মোসলেম মাঝীর পুত্র মোঃ মনির মাঝী তার তৃতীয় মেয়ে জিয়াসমিন জানান, আজ থেকে প্রায় ১৫ বছর আগে ফরিদপুরের মৃত খালেক মোল্লার ছেলে মোঃ কামাল মোল্লার সাথে ইসলামী শরীয়া’হ মোতাবেক তার বিবাহ হওয়ার পরে তার স্বামী সৌদীর রিয়াদে থাকেন। সেখান থেকে দুই বছর পর পর সাময়িক ছুটিতে স্ত্রী-সন-ানের কাছে আসেন। গত ০১ ডিসেম্বর ফরিদপুরের জয় পাড়ার এবি ব্যাংকের ২২৮৯৮৬ হিসাব নম্বর থেকে জমি ক্রয়ের জন্য তার  ৩ লাখ টাকা উঠিয়ে ০৩ ডিসেম্বর ঢাকাস’ কোনাবাড়ীর নিজস্ব বাসায় সোকেসে রাখেন। ওই দিনই জিয়াসমিনের ভাই মনির হোসেন ভান্ডারিয়া থেকে বোনের জন্য রসের পিঠা নিয়ে গেলে বোনসহ পরিবারের অন্য সকলে ঐ পিঠা খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে সেই সুযোগে মনির ও তার ভায়রার ছেলে আজিম টাকা নিয়ে দ্রুত সটকে পড়ে বলে অভিযোগকারী জানান। এরপর বোন জিয়াসমিন ভাণ্ডারিয়ায় তার বাবার বাড়ীসহ সকল আত্মীয়-স্বজনের বাড়ী খোজাখুজির পরে ঢাকাস’ জয়দেবপুর থানার গত ০৭ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখ একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এদিকে এ ঘটনায় তার স্বামী কামাল মোল্লা ১১ বছরের ছেলে হৃদয়কে রেখে স্ত্রী জিয়াসমিনকে তার বাবার বাড়ীতে পাঠিয়ে দেন এবং যতদিন পর্যন- তার ভাইয়ের কাছ থেকে উক্ত টাকা নিয়ে যেতে না পারবে ততদিন পর্যন- তাকে স্বামীর কাছে আশ্রয় দেয়া হবে না বলে জানান। অপর দিকে অভিযোগকারী জিয়াসমিন জানান, যে কেউ তার ভাই মনিরকে ধরিয়ে দিতে পারলে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। বর্তমানে জিয়াসমিন তার ভাণ্ডারিয়াস’ বাবার বাড়ীতে একমাত্র বৃদ্ধা মায়ের সাথে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন- মোঃ মনির মাঝী পলাতক রয়েছে বলে বোন জিয়াস মিন জানান।
উল্ল্যেখ্য; উক্ত মনির মাঝি ২টি কন্যা সন-ান সহ  একই এলাকার মাহিনুর নামে এক মহিলাকে বিয়ে করার পর ঐ মহিলার ই মেয়ে বিথি কেও বিবাহ করে বলেও বোন জানান। বর্তমানে মাহিনুর বারিতে আছে এবং মেয়ে বিথি (মনিরের ২য় স্ত্রী  ) কে নিয়ে পলাতক রয়েছে। এখন মা ও মেয়ের এক স্বামি বিষয়টি
এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃস্টি করেছে।

আরও পড়ুন...

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে অসুস’ ২

পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর থেকে ভাণ্ডারিয়া আসার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পরে অসুস’ হয়েছে ২জন। …