26 Boishakh 1432 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ৯ মে ২০২৫
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / জাতীয় সংবাদ / “স্মৃতীচারন” পূর্ববাংলা স্বাধীনের অগ্রদূত…….. ভাণ্ডারিয়ার সন্তান উপমহাদেশের কালজয়ী সাংবাদিক “তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া”

“স্মৃতীচারন” পূর্ববাংলা স্বাধীনের অগ্রদূত…….. ভাণ্ডারিয়ার সন্তান উপমহাদেশের কালজয়ী সাংবাদিক “তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া”

ভাণ্ডারিয়ার সন্তান উপমহাদেশের প্রখ্যাত অবি- সাংবাদিত কালজয়ী সাংবাদিক ,ক্ষুরধার “মোসাফির কলাম”লেখক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া,বর্তমান বরিশাল বিভাগের( তৎকালিন বরিশাল জেলা)পিরোজপুর জেলার(তৎকালিন পিরোজ পুর মহাকুমা) ভাণ্ডারিয়া উপজেলার(তৎকালিন ভাণ্ডারিয়া গ্রামের অন-র গত) পূর্বভাণ্ডারিয়া গ্রামের এক সম্ভ্রান- পরিবারে ১৯১১ সালে জন্ম গ্রহন করেন।
তাঁর পিতার নাম মুসলেহ উদ্দিন মিয়া। গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে তাঁর শিক্ষা জীবন
শুরু। ভাণ্ডারিয়া হাইস্কুল থেকে ৮মশ্রেনী পর্যন্ত পড়াশোনার পর পিরোজপুর সরকারী হাইস্কুল থেকে কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৩৫-এ তিনি
ব্রজমোহন কলেজ থেকে ডিষ্টিংশনসহ বি,এ পাশ করেন।তারপর তিনি পিরোজপুর কোর্টে চাকুরী গ্রহন করার সময় শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দীর সান্নিধ্য লাভের পর চাকুরী
ছেরে দেয়ার পর ঐ সময়ের উপমহাদেশের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক চিন্তাধারা ও মতাদর্শের সাথে তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়ার প্রত্যক্ষ পরিচয় ঘটে। সাংবাদিকতার সাথে তার(তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার) ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের সূত্রপাত দৈনিক ইত্তেহাদে-এর মাধ্যমে। তারপর তার কর্মনিষ্ঠা,নির্ভিকতা,সত্যনিষ্ঠা ও অন্যান্য বৈশিস্টের কারনে সাংবাদিক জগতে পূর্ন
মর্যদা লাভ করেন। তার কর্মস্পৃহার পেছনে স্ত্রী মজিদা বেগমের অনুপ্রেরনা যথেস্ট সহায়ক ভুমিকা রেখেছে। এর পর ১৯৪৩ সাল থেকে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধ শেখমুজিবুর রহমান ও তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া দু জন দু প্রান্ত থেকে জনগনের অধিকার অর্জনের জন্য কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধ শেখমুজিবুর রহমান রাজনিতীতে এবং তফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া তার ক্ষুরধার লেখনির
মাধ্যমে তৎ কালীন সংগ্রামী জনতার কর্মস্পৃহা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৪৯,১৯৫২,১৯৬৬সালের ৬-দফা আন্দোলন এসব লড়াইয়ে বহুবার তাকে কারা বরন করতে হয়েছে।তবুও তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন নাই। যদিও তাকে তার কার্য থেকে বিরত থাকতে বিভিন্ন ভাবে প্রলুব্ধ করা হলেও তিনি (তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার) তাতে রাজি হননাই। বর্তমানস্বাধীন বাংলাদেশ
তৎকালিন সময়ে পূর্ববাংলার- জন মাণুষের দু বেলা দু মুঠো ভাত স্বাধীন ভাবে বাঁচার অধিকার আদায়ের জন্য তৎকালিন জুলুমবাজ অত্যাচারি পাক হানাদারদের
হাত থেকে মা বোন দের সভ্রম রক্ষার জন্য  তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ক্ষুরধার লেখনি বীর শহীদ সহ স্বাধীনতা কামি মানুষের সহায়ক ছিল। অনেক নির্যাতন নিপিরন এর পর “পিন্ডির ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে রহস্য জনক ভাবে
ডেকে নেয়ার পর ১৯৬৯ সালের ৩১শে মে আকস্মিক ভাবে মৃত্যু মুখে পতিত
হন।( মহান বিজয় দিবস- এ- “স্বরনে” আমিতার প্রতিভু)। (তথ্য সংগ্রহ)।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় ৯টি ককটেল ১৫ টি সাউন্ড বোমাসহ বিপুল পরিমান জিহাদী বই উদ্ধার- ৬ শিবির নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁ সদরের শহরস্থ নামাজগড় মাদ্রাসা পাড়া থেকে ৯টি ককটেল, ১৫ টি সাউন্ড বোমা …