7 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / জাতীয় সংবাদ / যমুনা নদীতে শুষ্ক মৌসুমে তীব্র ভাঙন বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে

যমুনা নদীতে শুষ্ক মৌসুমে তীব্র ভাঙন বসতবাড়ি ও ফসলী জমি নদী গর্ভে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: শুস্ক মৌসুমেও যমুনা নদীতে  ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিনের ভাঙনে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে ৭টি গ্রামের অন্তত ৩শ’  বসতবাড়ি ও বিস্থীর্ণ এলাকার ফসলী জমি। গৃহহীন হয়ে পড়েছে প্রায় ১ হাজার পরিবার। ভাঙনরোধে কর্তৃপক্ষ ব্যবস’া গ্রহণ না করায় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে আশে পাশের ১০ গ্রামের মানুষ। এবার ভাঙন দেখা দিয়েছে শহর সংলগ্ন পৌরএলাকার চর মালশাপাড়া, বিয়াড়াঘাট, ঘোনাপাড়াসহ আশাপাশের ৭টি গ্রামে। গত ১৫ দিন যাবত প্রতিদিনই ভাঙছে ঘরবাড়ি ও বিস্থির্ণ এলাকার ফসলী জমি। জায়গা জমি বসতভিটাসহ সর্বস্ব হারিয়ে পরিবারগুলো বিভিন্ন রাস্থার ধারে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে জীবনযাপন করছেন। অনেকেই খোলা আকাশের নিচে পরিবার পরিজন নিয়ে অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছে। চর মালশাপাড়া এলাকার গোলাপ জানায়, গত ১৫ দিনে যমুনা নদী আমাদের সব কিছুই কেড়ে নিয়েছে। আমরা এখন গৃহহীন হয়ে পড়েছি। আগে সরকারী জায়গায় থাকতাম, এখন তাও এখন ভেঙে গেছে। এ কারণে আমরা দারুণ কষ্টের মধ্যে রয়েছি কোথাও যাওয়ার জায়গা পাচ্ছি না। একই এলাকার সোলাইমান আলী জানান, ৫ বিঘা জমিতে ইরি ধানের আবাদ করেছিলাম কয়েক দিনের ভাঙনে তা নদীতে চলে গেছে। আমারা অনেক ক্ষতিগ্রস- হয়েছি। ৫ বছর থেকে নদী ভাঙছে তারপরও সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এলাকাবাসী জানান, নদীতে পানি কম থাকার কারণে ভাঙনের ভয়াবহতা বেড়ে গেছে। এ কারণে অনেকেই তাদের বাড়িঘর অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ ভাঙনরোধে এখন পর্যন- কোনো ব্যবস’া না নেয়ায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে এ এলাকার গৃহহীন অসহায় মানুষ। কাউন্সিলর আবু হানিফ জানান, নদীতে এ সময় ভাঙন দেখা দেয়ার কথা নয়। বিগত দিনে কিছু অসাধু লোক নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়ে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এ এলাকার ১৫ বিঘা ফোলা ধান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আর কয়েকদিন থাকলে তারা এই ধান কেটে ঘরে তুলতে পারতো। কিন’ এখন তারা বাধ্য হয়ে ধান কেটে গরু ছাগলকে খাওয়াচ্ছে। সরকার এ এলাকায় বাঁধ করে দেয়ার আশ্বাস দিলেও এখনো তা বাস-বায়ন হয়নি। নদীর এই ভয়াবহ ভাঙনে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এদিকে সাবেক কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম জানান, নদীর মাঝে চর জেগে উঠায় পশ্চিমপাড় ভাঙনের শিকার হচ্ছে। আমরা শুনেছি নদীতে ড্রেজিং করা হবে কিন’ ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু হতে হতে এ এলাকা যদি নাই থাকে তাহলে ড্রেজিং করে লাভ কি। বসতভিটা হারিয়ে এলাকার মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। তাদের আর যাবার কোনো জায়গা নেই। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস’া গ্রহণ করা হবে। ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের যাতে কোনো কষ্ট না হয় সেজন্য তাদেরকে ত্রাণ সাহায্য ও অস্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমান বছরে যেভাবে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে তা বিগতদিনের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে। নদীভাঙন কবলিত মানুষকে রক্ষার জন্য বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন-রিক। ইতোমধ্যেই ক্যাপিটাল ড্রেজিং এবং নদী রক্ষার জন্য ৪শ’ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ কাজ খুব দ্রুত শুরু হবে। কাজ শুরু হলে সিরাজগঞ্জের মানুষের যে দুঃখ নদীভাঙনের ফলে বার বার তাদের বাড়িঘর ভেঙে যায় সেটাও আর থাকবে না।

আরও পড়ুন...

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল আদিবাসীদের মিলন মেলায় ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী নৃত্য প্রতিযোগিতায় আদিবাসীরা মানুষ হয়েছে, আদিবাসীরা পুরোপুরি মানুষ না হলেও বারো আনা মানুষ হয়েছে ————————————–খাদ্যমন্ত্রী

এন বিএন ডেক্সঃ  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অর্থাৎ আদিবাসীরা মানুষ হয়েছে, তবে পুরোপুরি মানুষ না হলেও বারো …