পিরোজপুর প্রতিনিধি: প্রায় এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও সদর উপজেলার বাশঁবাড়িয়ায় নিহত গৃহ বধূ খাদিজা বেগম আত্মহত্যা করেছে না তাকে শ্বশুর , শাশুড়ি, দেবর –ননদ মিলেমিশে নির্যাতন করে হত্যা করেছে তার কিনারা মিলছে না।এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গুনজন শুরু হয়েছে।সূত্র মতে,গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১ বিকালে পুলিশ গৃহ বধূ খাদিজা বেগমের লাশ তার শশুর বাড়ি থেকে উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে।নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বক্তব্য এক সন্তানের জননী খাদিজা গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে ।কিন’ এলাকাবাসীর প্রশ্ন বিয়ের ১০ বছর পর কেন গৃহ বধূ খাদিজা আত্মহত্যা করবে ?খোজ নিয়ে জানা গেছে ২০০১ সালে বাশঁবাড়িয়া বাসিন্দা রশিদ শেখের পুত্র রাশেদুলের সাথে কদমতলা বাসিন্দা কুমুদ বৈরাগীর কন্যা সীমা রানী বৈরাগীর(পরে নও মুসলীম )খাদিজার ইসলামী শরিয়ত মেনে বিয়ে হয়।এর আগে রাশেদুল শহরের লাশকাটা ঘরের কাছে দোকান দিত।বিয়ের পরপরই গৃহ বধূ খাদিজার উপর তার শ্বশুর,শাশুড়ী হোসনেয়ারা খাতুন , ননদ রুমানা ,খালেদা ,শিল্পী, দেবর আঃ খালেক তাদের মামা মানিক শিকদারের উস্কানিতে নির্যাতন করত।পরে স্বামী রাশেদুল চলে যায় বিদেশে।এতে গৃহ বধূর উপর নির্যাতনের মাত্রা তিব্র থেকে তিব্রতর হয়ে ওঠে।নাম না প্রকাশ করার শর্তে এ প্রতিবেদককে কয়েক জন জানিয়েছেন,বিদেশ থেকে রাশেদুল বেশ কিছু মূল্যবান জিনিস পত্র পাঠালে তা গৃহ বধূ খাদিজাকে দেয়নি তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন ।এর প্রতিবাদ জানালে শ্বশুর-শাশুড়ি, দেবর –ননদ খাদিজাকে মারপিট ও নির্যাতন করে হত্যার পর লাশ গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলে রাখে এবং আত্মহত্যার প্রচারনা চালায়।এদিকে ঘটনার সাথে জড়িতদের পক্ষ হয়ে এক দল সুযোগ সন্ধ্যানী লোকজন ঘটনা ধামা চাপা দিতে মাঠে নেমে পড়েছে।
Home / সারাদেশ / বরিশাল / পিরোজপুরের বাশঁবাড়িয়ায় গৃহবধূ খাদিজা বেগম হত্যাকান্ড ধামা চাপা দিতে মাঠে নেমে পড়েছে সুযোগ সন্ধ্যানী মহল
আরও পড়ুন...
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে অসুস’ ২
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর থেকে ভাণ্ডারিয়া আসার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পরে অসুস’ হয়েছে ২জন। …