এনবিএন ডেক্স: জেলার সদরসহ মহাদেবপুর মান্দা, বদলগাছী, ও পত্নীতলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ‘মাদ্রাজি ওল’ চাষ শুরম্ন হয়েছে। ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি আলুর বিকল্প হিসেবে তরকারিতেও ব্যবহার হচ্ছে এই ওল। নওগাঁ জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আব্বাস আলী জানান, গত দুই বছর আগে এই মাদ্রাজি জাতের ওল রংপুর জেলার একটি হর্টিকালচার ফার্ম থেকে নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল গ্রামের দলিলুর রহমান নিয়ে এসে জমিতে রোপণ করেন। প্রতিবিঘায় বীজ লাগে ৮-১০ মণ। ফলন হয় ৮০ থেকে ৯০ মণ। অর্থাৎ একটা বীজের ওজন যদি ২০০ গ্রাম হয় এক বছরে ওই বীজ বড় হয়ে ৬-৭ কেজি হয়। দুই বছর রাখলে এক একটা ওল ১৬-১৮ কেজি পর্যনত্ম হয়। অন্য ফসলের মতো এই ফসলে কোনো বালাই হওয়ার আশঙ্কা নেই। ফেব্রম্নয়ারি-মার্চ মাসে জমিতে বীজ রোপণ করতে হয়। সেপ্টেম্বর মাসে জমি থেকে তোলা শুরম্ন হয়। আলু লাগানোর পদ্ধতিতে লাগাতে হয় এই ওল। বীজসহ মোট খরচ হয় প্রতি বিঘায় ১৫-২০ হাজার টাকা। বিক্রি হয় ৫০-৬০ হাজার টাকা। কৃষি উপ-পরিচালক জানান, এ ফসল চাষ করতে কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না। সদর উপজেলার কীর্তিপুর ইউনিয়নের তছলিম উদ্দিন, কাজল, স্বপন, আজিজার রহমান এ বছর প্রায় এক একর জমিতে ওল চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রত্যেক বার কৃষকদের ট্রেনিংক্লাসে কৃষি অফিসার বলে থাকেন যে, মাদ্রাজি ওল আলুর পরিবর্তে তরকারিতে ব্যবহার করা যায়। ভর্তা খেতেও বেশ সুস্বাদু। বাজারে খুচরা মূল্য ২০-২২ টাকা প্রতি কেজি। অল্প খরচে বেশি আয় করা সম্ভ্ভব এ ফসল চাষাবাদ করে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁর রাণীনগরে অভিযানে কারেন্ট-রিং জাল জব্দ ॥ জরিমানা আদায়
এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁর রাণীনগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ কারেন্ট ও রিং জাল দিয়ে …