পিরোজপুর প্রতিনিধি:স্বরূপকাঠিতে ইলিশ মাছ নিয়ে হুলুস্থুল। এক দিকে লোক দেখানো আটক অন্যদিকে অবাদ বানিজ্য চলে দুই দিন ধরে। ইলিশ মাছ বিক্রি বন্ধে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ্লুকচুরির আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। স্থানীয় সাংবাদিক ও জনগনের পক্ষ থেকে বার বার প্রশাসনকে জানানো সত্যেও কার্যকরী পদক্ষেপ না নিয়ে লোক দেখানো আটক আর মাছ বিতরনের মধ্য দিয়ে শেষ করা হয় ১২ টি ট্ররারের মৎস্য বানিজ্য। জানাযায় রোববার সকালে সাগর থেকে ইলিশ মাছ বোঝাই ১২ টি মৎস্য ট্রলার উপজেলার মিয়ারহাট বন্দরে নোঙ্গর করে। এখবর পেয়ে এলাকার লোকজন প্রশাসনকে অবহিত করে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফারকে ওই বন্দরে পাঠান। তিনি গিয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় লোকজন পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান। এরপর উজেলা নির্বাহী অফিসার ওই বাজারে যান। নির্বাহী অফিসার আসছেন এমন খবরে সব মৎস্য ট্রলার দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। এসময় নির্বাহী অফিসার কিছু মাছ পান। পরিত্যক্ত ওই মাছ তিনি ছারছিনা শরীফের লিল্ল্ল্লাহ বডিংয়ে দিয়েদেন। নির্বাহী অফিসার পুনরায মৎস্য অফিসারকে রেখে চলে যাওয়ার পর পর আবারো শুরু হয ইলিশ মাছ বিক্রি। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ওইখানে গেলে দেখাযায় শতশত মানুষের ভিড়্। ভিড় ঠেলে ভেতরে ঢুকে দেখা যায় ডাকে মাছ বিক্রি চলছিল। এ অবস্থা দেখে সেখান থেকেই উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফারকে তার ০১৭১৮০৯২২৫৩ নম্বরের মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি মিযারহাট বন্দরে মাছ বাজারে আছেন বললে তাকে সামনে আসতে বলা হয়। তিনি সামনে না গিয়ে বলেন আমি কিছু করতে পারব না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমার কাছে পুলিশ নেই। তার অবস্থান জানতে চাইলে ফোন কেটে দেন। এ অবস্থায় রোববার রাতভর চলে ইলিশ মাছ বিক্রি। রাতে বিভিন্ন দফতরে ফোন করার পর সোমবার সকালে পুলিশ মিয়ারহাটবন্দর থেকে একটি এফবি আল্লার দান ও একটি নাম বিহীন মৎস্য বোঝাই ট্রলার আটক করে থানায় নিয়েযায়। এসময় অপর ট্রলালের ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। কিন’ আটক করা ট্রলারের লোকজনকে প্রথমে থানার অফিসে নিয়ে বসালেও পরক্ষনে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। এসময় উপজেলার তারাবুনিয়া খালের মধ্যে ৪ টি ট্রলার থেকে অবাদে মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। এমন সংবাদ সাংবাদিকরা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল গাফ্ফারকে জানালে তার পক্ষে কিছু করার নেই বলে আটক করা মাছ বিলি করনে ব্যস- হয়ে পড়েন্। থানার ঘাটে মাছ বিতরন করা হচ্ছে এমন খবর পেয়ে শতশত দরিদ্র মানুষ থানার ঘাটে জড়ো হলে শুরু হয় হুলুস’ুল কান্ড। অপরদিকে তারাবুনিয়ায় মাছ বিক্রির বিষয় উপজেলা নির্বাহী অসিারকে জানানো হলে তিনি পিরোজপুরে সভায় আছেন বলে জানান। পুলিশ পাঠানোর জন্য বলা হলে ব্যবসা’ নিচ্ছি বললেও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয নি। অপর দিকে আটক করা ৫ জেলেকে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সাথে বেঠকের পর প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ দিনের জেল দেয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুপসি’তিতে তার অফিস সহকারী নুরুজ্জামান ওই দায়ীত্ব পালন করেন। অপরদিকে তারাবুনিয়ায় ৪ টি ট্রলার থেকে নির্বিগ্নে মাছ বিক্রি হয়ে যায়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত একটি ট্রলারের মাছ বিতরন করা হলেওঅন্য ট্রলারটির মাছ থানার ঘাটে রয়েছে।
আরও পড়ুন...
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে অসুস’ ২
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর থেকে ভাণ্ডারিয়া আসার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পরে অসুস’ হয়েছে ২জন। …