সিরাজগঞ্জের পিজিসিএলের কর্মকর্তা কর্মচারীরা বদলী আতঙ্কে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:  পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানী লিমিটেড (পিজিসিএল) এর কর্মকর্তা কর্মচারিরা বদলী আতঙ্কে ভুগছেন। গত এক মাসে ২৪জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিভিন্ন দপ্তর পরিবর্তন করা হয়েছে। তাছাড়া কর্মকর্তাদের আন-:কোম্পানী বদলীও অব্যহত রয়েছে। বদলীর কারনে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্কভাব বিরাজ করছে। পিজিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল হককে সিরাজগঞ্জের পিজিসিএল থেকে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীতে শাসি-মূলক বদলী করা হয়েছে। তিনি পিজিসিএলে সর্বশেষ মহাব্যবস্থাপক বিপনন হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিভিন্ন অনিয়ম ও অদক্ষতার অভিযোগ এনে তাকে সিলেটের জালালাবাদ গ্যাস কোম্পানীতে বদলী করে। মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন মোঃ মোস্তাক আহমেদকে তিতাশ গ্যাসে বদলী করা হয়েছে। এ ছাড়াও  পিজিসিএলের বিভিন্ন কার্যালয়ে কর্মরত অনেক কর্মকর্তা কর্মচারির দপ্তর পরিবর্তন করা হয়েছে। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অন্যায় ভাবে এ সকল ব্যাক্তিদেরকে বদলী করা হয়েছে বলে ভুক্তভুগিরা অভিযোগ করেছে। বদলীর আদেশ জারীর করার পরেরদিনই তার রিলিজ অর্ডার প্রদান করা হয়েছে। যাতে কেহ কোন উচ্চমহল থেকে তদবির করতে না পারে। তবে তাদের বদলীর কারন সম্পর্কে কিছুই  জানেন না বলে জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারিরা  উলেস্নখ করেন যে, পিজিসিএলের বর্তমান ব্যবস’াপনা পরিচালক মোঃ আলি হোসেনের একক সিদ্ধানেত্ম এমনটি হচ্ছে। ব্যবস’াপনা পরিচালক তার একক আধিপত্য বিস-ার করার জন্য ইউনিয়নের নেতাকর্মিদের সঙ্গে আতাত করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে বদলীর আদেশ করাচ্ছেন। এ ছাড়াও তিনি স্থানীয় ভাবে ২২ জনের দপ্তর পরিবর্তন করেছেন। এ সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুর্দ্ধে কোন অভিযোগ না থাকলেও বদলী করা হচ্ছে। তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, পিজিসিএলের বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নেতৃত্বে কোম্পানীতে বিভিন্ন গ্রম্নপিং তৈরি হচ্ছে। কর্মকর্তা কর্মচারিদের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। কোম্পানীতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার পায়তারায় লিপ্ত হয়েছে কয়েকটি গ্রম্নপ। অনেকেই বলেন এভাবে চলতে থাকলে পিজিসিএলে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারিরা কাজের আগ্রহ হারাবেন। পিজিসিএল থেকে জালালাবাদে বদলী হওয়া মহাব্যবস্থাপক বিপনন আনিসুর রহমান জানান, সুষ্ঠভাবে আমি আমার দায়ীত্ব পালন করে আসছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তারপরেও আমাকে বদলী হতে হলো। আমি একজন প্রকৌশলী হয়েও জালালাবাদে আমাকে সে দায়ীত্ব না দিয়ে ওএসডি করে রাখা হয়েছে। বদলীর পরেরদিনই আমাকে রিলিজ অর্ডার দেয়া হয়। যাতে আমি কোন তদবির করতে না পারি। সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা মতামত ব্যক্ত করে  বলেন, ভালো পিজিসিএল একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান যেনে অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকরি ছেড়ে এখানে যোগদান করেছি। যোগদান করার কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর পিজিসিএলের অশানত্ম পরিবেশ দেখে আমি ভীষণ চিনিত্মত ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি। কখন যেন কি হয়। সার্বিক বিষয়ে পিজিসিএল এর ব্যবস’াপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী হোসেন জানান, কর্মকর্তাদের বদলী করে পেট্রোবাংলা। এখানে আমার কোন হাত নেই। তাছাড়া অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে এক স্থানে থাকায় তাদেরকে বদলী করা হচ্ছে। এখানে লবিং গ্রুপিং এবং রাজনৈতিক কোন উদ্দ্যেশ্যে নেই। অনেকের পদন্নতি হওয়ায় বদলী করা হয়েছে। এ ধারা অব্যহত থাকবে। তবে এ জন্য কাজের কোন ক্ষতি হবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।