নাজিরপুরে স’গিত থাকা ২ টি ইউপি নির্বাচনে অসি-ত্বের লড়াইয়ে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছে আ’লীগ ও বিএনপি

পিরোজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নাজিরপুরে স’গিত থাকা ২ টি ইউনিয়নের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ ও বিএনপির অসি-ত্বের লড়াইয়ে কোমড়বেধে মাঠে নেমেছে দুইদল। জানা গেছে, উপজেলার ৪নং দীর্ঘা ও ৮ নং ছিরামকাঠী এ ২ টি  ইউনিয়ন পরিষদে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষনা করা হয়েছে। ২টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি তাদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে মাঠে নেমেছে। এখানে ইউপি নির্বাচনে জয় পরাজয়ের উপর নির্ভর করছে এ দুটি দলের উপজেলার রাজনৈতিক অসি-ত্ব। আর তাই দলীয়ভাবে এখানে নির্বাচনকে খুব বেশী গুরুত্বও দিচ্ছে দলের স্থানীয় হাইকমান্ড। তবে এখানে আওয়ামীলীগের শত্রু আওয়ামীলীগ। গত ১এপ্রিল উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে দেউলবাড়ি দোবড়ার সীমানা বিরোধ ও ওই ইউনিয়নটি ভেঙ্গে ২ টি ইউনিয়ন করায় ওই ২টি  ছাড়া বাকি ৭ টি ইউনিয়নে নির্বাচ হওয়ার কথা থাকলেও নির্বাচনের ২দিন আগে নির্বাচন কমিশন ৪নং দীর্ঘা  ও ৮নং ছিরামকাঠীতে সুষ্ঠ ও প্রভাবমুক্ত নির্বাচনের পরিবেশের অভাব মনে করে হিন্দু অধ্যুষিত ওই ২টি ইউনিয়নে নির্বাচন স’গিত করে দেন। ৪ নং দীর্ঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে সাবেক এমপি আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ঘনিষ্টজন খ্যাত বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ দ্বিজদাস হালদার(টেলিফোন) রয়েছেন অপর দিকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে উপজেলা আ’লীগ প্রভাবশালী সদস্য মাষ্টার শাহ আলম আকন(দেয়াল ঘড়ি)। তবে এখানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এ এলাকার প্রায়ত এমপির স্ত্রী সরকারদলীয় মহিলা এমপি সাধনা রানী হালদার। কেননা একদিকে নাজিরপুর উপজেলা সাধনা রানীর নিজ পৈত্রিক এলাকা হওয়ায় স’ানীয় এমপি আউয়ালের সাথে রয়েছে তার দীর্ঘ দিনের আভ্যন-রীন কোন্দল। তাছাড়া দ্বীজদাস হালদার তার পৈত্রিক বংশীয় লোক সব মিলিয়ে সাধনা রানীর রয়েছে দ্বীজদাস হালদারের প্রতি সমর্থন। যা  বিএনপি সমর্থিত দ্বীজদাসের  বিজয়ের জন্য একটি বড় ধরনের সুযোগ করে দিচ্ছে বলে স’ানীয় ভোটারদের মন-ব্য। তবে হিন্দু অধ্যুষিত এ ইউনিয়টিতে আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা হিসাবে  মাষ্টার শাহআলমের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা, তবে শত্রু বলতে কথা এখানে আরো প্রার্থী রয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা বাবুল কৃষ্ণ(জাহাজ), এ্যাডভোকেট সুশেন কুমার হালদার( দোয়াত কলম), উপজেলা যবুলীগ নেতা মো: মনিরুজ্জামান(আনারস) সহ মোট ৫ জন। এ দিকে ৮ নং শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নে বিএনপির প্রার্থী হিসাবে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার হোসেন মোল্লা(আনারস) রয়েছেন ও আওয়ামীলীগের পরাপর ৪ বার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যন ও জেলা কৃষকলীগ সাধারন সম্পাদক আব্দুল মালেক বেপারী (দোয়াত কলম)। এখানে  মোতাহার মোল্লা ও মালেক বেপারী ২ জনেই জনপ্রিয় প্রার্থী। কিন’  হিন্দু অধ্যুষিত এ ইউনিয়নেও রয়েছে আ’লীগের জন্য একই সমস্যা। এখানেও ওই মহিলা এমপির সমর্থিত প্রার্থী হিসাবে  রয়েছে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার মৈত্র(দেয়াল ঘড়ি)। এ ইউনিয়নটি উপজেলা সদরের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় রাজনৈতিকভাবে এর গুরুত্ব খুবই বেশী। তাই আওয়মীলীগ দলীয়ভাবে কোমর বেধে মাঠে নামলেও দলীয় এ গ্রুপিং তাদের জন্য বড় বাধা হতে পারে বলে মনে করে বিশিষ্টজন। কেননা ওই ইউনিয়নের হিন্দু ভোটারদের মাঝে উত্তম মৈত্রের কিছু ভোট ভাগ হওয়ায় এমনই সমস্যার  হওয়ার আশংকা।