এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর পোরশায় আমন ধানে বিভিন্ন রোগ বালাই কৃষক বিপাকে। ক্ষেতে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণের কারণে ধানের ফলন কেমন হবে এই চিনত্মায় কৃষকরা শংকিত। জমিতে একাধিকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোন লাভ হচ্ছে না। একারণে চলতি মৌসুমে আমন ফসলে লোকশান হতে পারে বলে তারা আশংকা করছেন। এবারে আগাম বর্ষা হওয়ার কারণে কৃষকগণ খুশি ছিলেন কিন’ ধান লাগানোর পরে অনেকদিন বৃষ্টি না হওয়ার জন্য তারা চিনত্মায় ছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি ফলে কৃষকদের মন ভাল হলেও কি কারণে ধানের এবস্থা তারা বলতে পারছেন না। উপজেলার ঘাটনগর ইউপির কালুকান্দর, বড়গ্রাম, সমনগর এলাকা, বাংধারা, তেতুলিয়া ইউপির শাহাপাড়া, লেলাংগাহার, জালুয়া, পূর্বগ্রাম, নিতপুর ইউপির শোভাপুর, বিষ্টিপুর, গানইর, টেকঠা, সোহাতী, গোপালগঞ্জ, কুলাডাংগা, ছাওড় ও গাঙ্গুরিয়া ইউপির বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধানের ক্ষেতে মুনজিকাটি, পচন ও কোথাও কোথাও মাজরা পোকার আক্রমণ হয়েছে। মুনজিকাটিতে ধানের গোড়া কেটে দিচ্ছে এবং পচন রোগে আক্রানত্ম হয়ে ধানের রং হলুদ ও পরে পচে বসে যাচ্ছে। কুলাডাংগা গামের কৃষক আব্দুর রশিদ, নিতপুর বাংগাল পাড়ার আবুল হাসেম , কালুকান্দর গ্রামের আয়াত আলী , বাংধারা গ্রামের সাইদূর জালুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিন জানায় পচন রোগ ও মাজরা পোকা দমনে জমিতে টিল্ট, কনটাফ সহ বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটিয়ে কোন ফল পাওয়া যাচ্ছেনা। এভাবে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ছিটানোর পরেও কোন ফল না পাওয়ায় কৃষকগণ চিনিত্মত বলে তারা জানান। এতে আমন মৌসুমে লোকশান গুনতে হবে বলেও তারা মনে করছেন। এ ব্যাপারে পোরশা উপজেলা কৃষি সমপ্রসারণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা ইতোমধ্যে উপ-কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে টিম গঠন করেছি তারা বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছেন এবং কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। কিছুদিন খরার কারণে ধানের এরকম অবস্থা হয়েছিল এখন বৃষ্টি হয়েছে আশা করি কিছু দিনের মধ্যে ধানের অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।#
আরও পড়ুন...
খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে: নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী
এনবিএন ডেক্সঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে …