পিরোজপুর প্রতিনিধি: ভান্ডারিয়ার নদমূলা শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের চরখালী গ্রামের পঞ্চম শ্রেণী পড়-য়া এক স্কুল ছাত্রী (১১)কে তিন বখাটে মিলে ধর্ষণের অভিযোগে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই স্কুল ছাত্রীর মা স্থানীয়ভাবে লোক লজ্জা ও ধর্ষকদের হুমকীর ভয়ে ঘটনার একদিন পর রবিবার রাত সাড়ে আটটায় ধর্ষক গোলাম মাওলা (২৫) তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশ নির্যাতিত ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গতকাল সোমবার সকালে পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রেরণ করে। পরে মেয়েটি ২২ ধারায় ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে নির্যাতন ঘটনার জবান বন্দী দেয়। এদিকে গত শনিবার সকালে অভিযুক্ত ধর্ষক গোলাম মাওলা ও তার দুই সহযোগি দুলাল খান (২৫), হাসান মুন্সী (২৩) ঘটনার পর থেকে পালিয়ে রয়েছে। ধর্ষক গোলাম মাওলা চরখালী গ্রামের আব্দুল ওহাব মাঝির ছেলে, দুলাল খান একই গ্রামের মজিদ খানের ছেলে ও হাসান মুন্সী মৃত হাই মুন্সীর ছেলে। ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালীর এলাকার ৫৫নম্বর উত্তর চরখালী রেজিষ্ট্রার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী। মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, গত শনিবার সকাল আটটার দিকে মেয়েটি ঘর থেকে বের হয়ে দোকানে কেনা কাটার জন্য যাচ্ছিল। পথে একই গ্রামের অটোরিশকা চালক দুলাল খান পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মেয়েটিকে ফুসলিয়ে তার নির্জন ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে গোলাম মাওলা ও তার অপর সহযোগী হাসান অপেক্ষা করছিল। এক পর্যায় পরিকল্পনা অনুযায়ী দুলাল ও হাসান বাইরে থেকে ঘরটি আটকে চলে যায়। এই সুযোগে বখাটে গোলাম মাওলা মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। মেয়েটির জ্ঞান ফিরলে গোলাম মাওলা মেয়েটিকে ঘরের বাইরে বের করে দেয়। ধর্ষিতা মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকজনকে বিষয়টি জানায়।ওই স্কুল ছাত্রীর মা অভিযোগ করেন, ঘটনার পর ধর্ষকদের হুমকি ও লোক লজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতে পারেননি। এমনকি ধর্ষকরা নির্যাতিত মেয়েটিকে বাড়ী থেকে চিকিৎসার জন্যও বের হতে দেয়নি। গত রোববার নির্যাতিত মেয়েটি অসুস’ হয়ে পড়লে গ্রামে ঘটনাটি জানা জানি হয় যায়। পরে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে মেয়েটির মা বাদি হয়ে ধর্ষক গোলাম মাওলা ও তার দুই সহযোগির বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।ভান্ডারিয়া থানার উপ পরিদর্শক বিকাশ চন্দ্র দে জানান, বখাটে গোলাম মাওলা ও তার দুই সহযোগি মিলে ওই স্কুল ছাত্রীকে একটি ঘরে আটকে ধর্ষণ করেছে এমন অভিযোগে মেয়েটির মা বাদি হয়ে তিন জনের বিরম্নদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক তদনেত্ম মেয়েটির ওপর নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। ভান্ডারিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ মো. মতিউর রহমান বলেন, মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা ও ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে জবানবন্দীর জন্য পিরোজপুরে পাঠানো হয়েছে। আসামীরা ঘটনার পর থেকে পলাতক। তবে আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
আরও পড়ুন...
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পরে অসুস’ ২
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ পিরোজপুর থেকে ভাণ্ডারিয়া আসার পথে অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের খপ্পরে পরে অসুস’ হয়েছে ২জন। …