নওগাঁয় পারিবারিক নির্যাতন ও নারীর ক্ষমতায়নে কাজ করছে পল্লীশ্রী

এনবিএন ডেক্স: সামাজিকতায় পরিবারই মূল ও প্রাথমিক প্রতিষ্ঠান। তাই এটিকে হওয়া দরকার শক্তিশালী, বৈষম্যহীন ও নির্যাতন মুক্ত। পারিবারিক নির্যাতন কোন ব্যাক্তিগত বিষয় নয়। এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবার তথা  সমাজের সকল মানুষ। এর প্রতিরোধে নওগাঁ জেলার ৬ টি উপজেলায় কাজ করছে বেসরকারী সংগঠন পল্লীশ্রী। এলাকার বিভিন্ন এনজিও ও চেঞ্জমেকারদের সাথে নেটওর্য়াক গঠনের মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে সংস্থাটি। সোমবার সন্ধ্যায় নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায় এই তথ্যগুলি জানানো হয়। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে সংস্থার নওগাঁ জেলা ইউনিটের প্রকল্প সমন্বয়কারী শফিকুল ইসলাম কাজের বিবরন তুলে ধরেন। এসময় জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি নবির উদ্দীন, সাধারন সম্পাদক এ্যাড. হাফিজুর রহমান, চেঞ্জমেকার কমিটির সভাপতি সাংবাদিক শাহজাহান আলী, সাংবাদিক ফরিদুল করিম, রায়হান আলম, মোঃ আবুবকর সিদ্দিক প্রমূখ বক্তব্য রাখেন। প্রকল্প সমন্বয়কারী শফিকুল ইসলাম জানান, পারিবারিক নির্যাতনের বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে পারিবারিক সহিংসতা (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) বিল, ২০১০ পাশ হবার পর থেকে নওগাঁ জেলার সদর, রানীনগর, মহাদেবপুর, পত্নীতলা, বদলগাছী ও ধামইরহাট উপজেলায় তাদের কার্যত্রুম সচল রয়েছে। সোস্যাল ইন্টারভেনশনঃ উইম্যান ইম্পাওয়ারমেন্ট এন্ড লিডারশীপ প্রকল্পের মাধ্যমে তারা নারী পুরুষের সমতা এবং নারীর ক্ষমতায়নে পদক্ষেপসমূহ সম্পর্কে ব্যাপক ভাবে জনসাধারনকে উৎসাহিত করছে। তিনি আরও জানান, ২০০৯ সালের জানুয়ারী থেকে শুরু করে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে শেষ করেছে প্রকল্পটির প্রথম ধাপের কার্যক্রম। পরবর্তীতে ২০১১ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু করা হয়েছে। চলবে ২০১২ সালের জুন মাস পর্যন্ত। এতে ওই এলাকার পারিবারিক পরিমন্ডল থেকে শত ভাগ নারী ও শিশুর সুযোগ এবং প্রতিকার সংক্রান্ত অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে। প্রকল্পটির উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে, স্থানীয় ক্ষমতা কাঠামোতে নারীদের কৌশল, সুযোগ ও সুবিধাসমূহ বৃদ্ধি পাবে। নারী নেতৃত্ব উন্নয়নে প্রক্রিয়াসমূহ এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সাধারন জনগনের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হবে এবং নির্যাতন  প্রতিরোধে ভূমিকা রাখবে। মতবিনিময়ের মাধ্যমে জানানো হয়, এ পর্যন্ত নওগাঁ জেলার ৬ টি উপজেলার ৫৯ টি ইউনিয়নের ৫৩১ টি ওয়ার্ড, ৪ টি পৌরসভা ও ৯৪৫ টি কিশোর-কিশোরী দল গঠন করা হয়েছে। কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী নিয়মিত মিটিং, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, ওরিয়েন্টেশন, রাউন্ড টেবিল বৈঠকের পাশাপাশি চেঞ্জমেকার তৈরী  করে তাদের সমন্বয়ে এলাকায় প্রচারনার মাধ্যমে জনসচেতনতা গড়ে তোলার কাজ করছে। জেলায় মোট চেঞ্জমেকার হয়েছেন ৩৬ হাজার ৩৫৫ জন। এর মধ্যে ২১ হাজার ৫৪৩ জন নারী ও ১৪ হাজার ৮১২ জন পুরুষ। #