৪০টিরও বেশি পরিবার মানবেতর জীবন-যাপন নওগাঁর নিয়ামতপুরে বসত-বাড়ীর জায়গা দখল করে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম নির্মাণের কাজ চলছে

এনবিএন ডেক্স : নওগাঁর নিয়ামতপুরে বসত-বাড়ীর জায়গা দখল করে চলছে জেলা পরিষদের অডিটোরিয়াম নির্মাণের কাজ। ঐ স্থানে বসবাসকারী ৪০টিরও বেশি পরিবার বসত-বাড়ী হারিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। নিয়ামতপুর উপজেলা সদরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত নিজ সম্পত্তির উপর নির্মিত বাড়ীতে বসবাস করে আসছিল সাইফুদ্দীন। সে সাথে কিছু দোকান ঘর ভাড়া ও নিজে দোকান চালিয়ে তার পরিবার-পরিজনকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। কিন- স্থানীয় এমপির লোক মারফত সাইফুদ্দিন জানতে পারে সরকারের ২১ শতাংশ জায়গার সাথে তার বসত-বাড়ী ও দোকানঘরের ৭৭ শতাংশ জায়গাকে অডিটোরিয়াম নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে বসতবাড়ি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কাছে বারবার ধর্না দিলেও স্থানীয় এমপির প্রভাব খাটানোর কারণে কোন প্রকার সুবিচার পায়নি। আদালতে উক্ত জমি সংক্রান- একটি মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় গত ৭ই ফেব্রুয়ারী ১১ইং তারিখ সাইফুদ্দিনকে না জানিয়ে হঠাৎ তার বসত-বাড়ি ও দোকান ঘর উচ্ছেদ করা হয়। এই শোকে সাইফুদ্দীন হৃদরোগের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করে। অপরদিকে অন্যায়ভাবে সাইফুদ্দীনের জায়গা দখল করে সেখানে অডিটোরিয়াম নির্মাণের কাজ এখনও অব্যাহত রয়েছে। উক্ত সাইফুদ্দীনের পরিবারের কাছ থেকে জমি অধিগ্রহণ কিংবা তার পরিবাবারকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়নি। ফলে বসত-ভিটা এবং দোকানঘর হারিয়ে সাইফুদ্দীনের পরিবার এখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। সাইফুদ্দীনের ছেলে জাভেদ জানায়, আমাদের ঘর-বাড়ী এবং দোকান ভাঙ্গার সময় জিনিস-পত্র বের করার জন্য সময় চাইলে তারা আমাদেরকে মারধর করে এবং আমাকে থানায় নিয়ে আটকে রাখে। সাইফুদ্দীনের ছেলে আরো জানায়, আমাদের প্রায় ৬/৭ লাখ টাকার জিনিসপত্র ফেরত না নিয়ে তা নিলামে বিক্রি করে দেয় এবং আমাদেরকে এক কাপড়ে ঐখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। সে আরো জানায়, আমরা আইনগতভাবে আমাদের ন্যায্য দাবি চাইতে গেলে স্থানীয় এমপি সাধন চন্দ্র মজুমদার আমাদের বলেন, ওই জায়গায় তোমাদের দোকানঘর করে দেয়া হবে। কিন’ লিখিতভাবে চাইতে গেলে তিনি সব বিষয় নাকচ করে দিয়ে ঐ জায়গা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করে । পরে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ করে কোন ফল না পাওয়ায় আমরা নিরূপায় হয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করি। মহামান্য আদালত ঐ জায়গার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর থেকে এমপির লোকজনেরা আমাদের উপর আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এমতাবস্থায় সাইফুদ্দীনের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রী বিজয় ভূষন পাল এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান হাইকোর্টের স’গিতাদেশের কারনে নির্মান কাজ বন্ধ আছে।