সিরাজগঞ্জ রজব আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষের অনিয়ম ও দূর্নীতির প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ অধ্যক্ষের দূরর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ রজব আলী মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। রোববার সকাল ১টার দিকে পৌর এলাকার ধানগড়া মহল্লায় স্থাপিত ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা বর্জন করে অধ্যক্ষের অপসারনেরও দাবী জানায়। এ সময় তারা কলেজের বিভিন্ন কক্ষের দরজা-জানালায় ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন ঘটনাস’লে পৌঁছে তাদের নিয়ন্ত্রন করেন। এ সময় কলেজের অধ্যক্ষ লাঞ্ছিত হওয়ার ভয়ে দ্রুত সটকে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী ও ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকরা জানান, গত কয়েকদিন থেকেই শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট-ফান্ড গঠন নিয়ে অধ্যক্ষের সাথে শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব হয়। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনার জের ধরে অধ্যক্ষের সাথে শিক্ষকদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় এবং একে অপরকে দেখে নেবার হুমকী দেন। এ সময় কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক রফিকুল ইসলাম শিক্ষকদের প্রতি অধ্যক্ষের কুটুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানান।  এরপর শনিবার হাজিরা খাতায় ওই শিক্ষকের উপসি’তির ঘরে লাল কালি দিয়ে কেটে অধ্যক্ষ অনুপসি’ত করে রাখলে শিক্ষকরা রোববার সকালে কলেজে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিষয়টি পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়ে। সকাল ১০টা থেকে প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার (বাংলা ১ম পত্র) প্রথম দিনে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে পরীক্ষা বর্জন করে অধ্যক্ষের নানাবিধ দূর্নীতি ও তার অপসারনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে।সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ও ম্যানেজিং কমিটির লোকজন শিক্ষার্থীদের শান- করে কলেজ লাইব্রেরীতে শিক্ষকদের সাথে এক আলোচনায় বসেন। আলোচনা শেষে পরীক্ষা ১ দিনের জন্য স’গিত করা হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন প্রতিবাদী ও ভুক্তভোগী শিক্ষক সাংবাদিকদের উপস্থিতিতেই গর্ভানিং বডি’র লোকজনের কাছে অভিযোগ করে বলেন, কলেজের ৭ জন শিক্ষকের পদায়নের বিপরীতে অধ্যক্ষ প্রতি জনের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষকদের প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠনের ক্ষেত্রেও তিনি বিশেষ কারনে গড়িমশি করছেন। এছাড়া, শুরু থেকে কলেজটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠিান হলেও, অধ্যক্ষ নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দ্যেশে কতিপয় উশৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের উস্কানী দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করার পাঁয়তারা করছেন। এমনকি, কোন শিক্ষক তার দূর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করলে, তাকে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হেনস্তা করা হয়। এ ব্যাপারে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মিজানুর রহমান পদায়নের বিপরীতে ঘুষ গ্রহনের বিষয়টি অস্বীকার করে মোবাইলে জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর দুপুরে প্রভিডেন্ট ফান্ড গঠনের বিষয় নিয়ে সাধারন শিক্ষকরা দাবী জানালে বিষয়টি গর্ভনিং বডির সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবার পরামর্শ দেই। এ একথা বলা মাত্র তারা আমার কক্ষের মধ্যেই আমাকে চেয়ার তুলে মারতে উদ্যত হয়। পরে, আন্দোলনকারী এক শিক্ষক দেরীতে আসায় তাকে অনুপসি’ত করলে সমস- শিক্ষকরা একজোট হয়ে শিক্ষার্থীদেরকে অনৈতিভাবে প্রভাবিত করে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।