এনবিএন ডেক্স: নওগাঁ জেলার সদর সহ ১১ উপজেলায় যুগ যুগ ধরে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কসাইরা জবাই করে চলেছে গরু-ছাগল। অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে জবাইকৃত এসব পশুর মাংস অবাধে বাজারে বিক্রী হচেছ এবং মাংস খেয়ে অনেকেই বিভিন্ন রোগে আক্রানত্ম হচেছ বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় পৌরসভা এবং উপজেলা প্রশাসন থেকে এসব পরিদর্শন করার জন্য মনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকায় কসাইদের দৌরাত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। সচেতন মহল খোলা নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পশু জবাই বন্ধের জোর দাবি জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার নওগাঁর জেলার সদরের পৌরসভা এবং সদরের বাহিরে ঘুরে দেখা গেছে কসাইরা নোংরা পরিবেশে গরু-ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে যে, নওগাঁ সদরের ঢাকা বাসষ্ট্যান্ড, মাংস বাজার, বালুডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ড, কাজির মোড়, এলাকায় খুবই নোংরা ও অস্বাস’্যকর পরিবেশে গরু জবাই করছে কসাইরা। জেলার সদর সহ মহাদেবপুর, বদলগাছী, নিয়ামতপুর, পোরশা, সাপাহার, মান্দা, আত্রাই, রাণিনগর, পত্নিতলা, ধামুইরহাট উপজেলার প্রতিটি হাট বাজারের পাশে এভাবে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কসাইরা গরু-ছাগল জবাই করে বাজারে বিক্রি করছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। সদরের ঢাকা বাসষ্ট্যান্ড, মাংস বাজার, মুক্তির মোড় সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে কসাইরা গরু জবাইয়ের পর পুকুরের পঁচা পানি দিয়ে মাংস পরিষ্কার করছে। এসময় মাংসের পাশে কাঁক ও কুকুরকে মাংস নিয়ে টানাটানি করতে দেখা গেছে। মরা রুগ্ন গরু-ছাগল জবাই করে স্থানীয় কসাইরা বাজারে বিক্রী করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এদের বিরুদ্ধে আজ পর্যনত্ম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
এব্যপারে নওগাঁ সদর মডেল থানায় যোগাযোগ করা হলে পুলিশ জানায় এসব দেখার দ্বায়িত্ব স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টরর পরিদর্শকদের। পুলিশের পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে স্থানীয় প্রশাসনকে সাহায্য করা হয়। এদিকে এলাকার সচেতন মহল নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে গরু-ছাগল জবাই করে বাজারে বিক্রী বন্ধ এবং কসাইদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন...
নওগাঁয় করোনা ভাইরাসে আরও ১ জনের মৃত্যু ঃ সর্বমোট মৃত্যু ২২ জনঃ নতুন আক্রান্ত ১০ জন ঃ সর্বমোট আক্রান্ত ১৩৭৪
এন বিএন ডেক্সঃ নওগাঁ জেলায় নতুন করে ১০ ব্যক্তির শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আরও …