এবিএন ডেক্স: নওগাঁয় আমন ধানের ক্ষেতে খোলপচন ও মাজরা পোকার আক্রমণে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষেতের পর ক্ষেতে রোগবালাইসহ বিভিন্ন পোকা-মাড়কের আক্রমণ ঘটায় আমনে আশানুরূপ ফলন নিয়ে কৃষকরা শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। জমিতে একাধিকবার কীটনাশক ছিটিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না বলে কৃষকদের অভিযোগ। এদিকে দীর্ঘ সময় অনাবৃষ্টির কবলে পড়ে পুড়তে চলেছে এ অঞ্চলের আমনক্ষেত। ফলে চলতি মৌসুমে আমন ফসলে লোকসান গুনতে হতে পারে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে উফসী ও হাইব্রিড জাতের আমন চাষ করা হয়েছে। এবার মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টিপাতের কারণে জমিতে আগাম ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। কিন’ গত ৩ সপ্তাহ ধরে এ অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। দীর্ঘদিন বৃষ্টিপাত না হওয়া, দিনে প্রচণ্ড রোদ ও রাতে কুয়াশা পড়ার কারণে কৃষিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। এতে করে আমন ধানের জমিতে পোকা-মাকড় ও রোগ বালাই দেখা দিয়েছে।
উপজেলার নুরুল্যাবাদ, প্রসাদপুর, কুসুম্বা, পরানপুর, ভালাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মাঠ ঘুরে আমন ক্ষেতের জমিতে খোলপচন ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা গেছে। খোলপচন রোগে আমন চারার গোড়া পচে শুকিয়ে হলুদ বিবর্ণ হয়ে মরে যাচ্ছে। দিন যতই যাচ্ছে এ রোগের প্রাদুর্ভাব ততই বাড়ছে। এনায়েতপরু গ্রামের কৃষক অমল চন্দ্র সরকার জানান, খোলপচন রোধে জমিতে টিল্ট বা কনটাফ জাতীয় কীটনাশক ছিটিয়েও তারা তেমন সুফল পাচ্ছেন না। মাজরা পোকার আক্রমণ ঠেকাতে জমিতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক সেপ্র করা হলেও পোকা দমন না হওয়ায় তারা দিশোহারা হয়ে পড়েছেন। নুরুল্যাবাদ গ্রামের কৃষক আসলাম হোসেনসহ আরো অনেকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টিপাত না থাকায় জমিগুলো শুকিয়ে আছে। একারণে মাজরা পোকা দমনের জন্য তারা জমিতে দানাদার কীটনাশক প্রয়োগ করতে পারছেন না। কৃষকরা জানান, এভাবে চলতে থাকলে চলতি মৌসুমে আমন ধানে তাদের লোকসান গুনতে হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রামানিক জানান, বর্তমানে এ অঞ্চলে বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। এছাড়া কৃষকরা জমিতে পটাশ সার ব্যবহার না করায় আমন ক্ষেতে সিটব্লাস্ট বা খোলপচা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। আক্রানত্ম ক্ষেতগুলোতে টিল্ট, কনটাফসহ ছত্রাকনাশক সেপ্র করার জন্য উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন।
আরও পড়ুন...
খাদ্যশস্য ধারণক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে উন্নীত করা হবে: নওগাঁয় খাদ্যমন্ত্রী
এনবিএন ডেক্সঃ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের খাদ্যগুদামে খাদ্যশস্য ধারণ ক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিকটনে …