19 Agrohayon 1431 বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / সর্বশেষ / গাংনীর গাড়াডোব-শ্যামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত-১৮! গ্রেফতার ৩০

গাংনীর গাড়াডোব-শ্যামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ সহ আহত-১৮! গ্রেফতার ৩০

গাংনী প্রতিনিধিঃ মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ও গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশ সহ অন্তঃত ১৮ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় গাড়াডোব গ্রাম থেকে অন্তঃত ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩রা সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে কাজলা নদীতে পাট পচানো কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশি গ্রেফতার এড়াতে গাড়াডোব গ্রামে বিরাজ করছে আতংক। পুলিশ বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪শ/৫শ জনের নামে মামলা দায়ের করেছে।

পুলিশ ও গ্রাম সুত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার শ্যামপুর মিরপাড়ার খোকা মিয়ার ছেলে মোফাজ্জেল হোসেন কয়েকজনকে সাথে নিয়ে কাজলা নদীতে পাট জাগ দিচ্ছেলেন। তাদের অদুরে নদীতে গরুর গোসল করাতে আসেন গাড়াডোব গ্রামের নবির উদ্দীনের ছেলে বশির উদ্দীন। একই স্থানে পাট জাগ দেওয়া এবং গরুর গোসল করানো কেন্দ্র করে বশির উদ্দীন ও মোফাজ্জেল হোসেনের মধ্যে বাক বিতন্ডতা শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা গন্ডগোলের রুপ নেয়। এ ঘটনার জের ধরে শ্যামপুর মিরপাড়া থেকে মোফাজ্জেল হোসেনের পক্ষে এবং গাড়াডোব গ্রাম থেকে বশির উদ্দীনের পক্ষে বিপুল সংখ্যক লোকজন এসে কাজলা নদীর পাড়ে মিরপাড়া বিজ্রের পার্শ্বে জড়ো হয়। লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে আহত হয় গাড়াডোব গ্রামের ইন্তাজ আলী (৪০), সানোয়ার  হোসেন (২৮), আমান (২৫), দৌলত হোসেন (৫০), আব্দুস সাত্তার (৫০), মারুফ হোসেন (২৫) ও বশির উদ্দীনসহ (৩০) উভয় পক্ষের অনন্ত ১৫ জন। গ্রামে মাইকিং করে লোকজন জড়ো করে মারামারি করা হয় বলে জানান গাংনী থানার ওসি বিমল কৃষ্ণ মল্লিক। তিনি আরও জানান সদর থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে মিরপাড়ার লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তারা বিজ্রের উপর গাড়াডোব গ্রামের মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে আসলে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে এএসআই আমিনুল ইসলাম ও সঙ্গীয় দুজন আনছার সদস্য আহত হয়। গ্রামবাসী জানায়, পুলিশ আহতের সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী ও সদর থানা থেকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ এসে গাড়াডোব গ্রামের মানুষের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। গণগ্রেফতার চালায় পুলিশ। গাড়াডোব গ্রামের সামাদুল ইসলাম (৪০), আনেছ উদ্দীন (৩০), আব্দুল গনি (৫২), আমান উল্লাহ (৩০), ইন্তাজ আলী (৪০), আলা উদ্দীন (৩১), আরিফ হোসেন (৩২) ও আজিজুল ইসলামসহ (৩১) গ্রামের অন্তঃত ৩০ জনকে গাংনী ও সদর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। সন্ধ্যায় সদর থানা পুলিশ গ্রাড়াডোব গ্রামের ইউপি সদস্য আওয়ামীলীগ নেতা উসমানকে গ্রেফতার করে। আহত এএসআই আমিনুল ইসলাম বাদি হয়ে গত রাতে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সরকারী কাজে বাধাদান ও পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা ওই মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪শ/৫শ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি (তদন্ত) আলী আহম্মেদ মাসুদ। ঘটনার মুল হোতা গাড়াডোব গ্রামের ইউপি সদস্য ওসমান কে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুন...

মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ এর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন

আরটিভি’র সংবাদ প্রযোজক মুহম্মদ আবদুল কাইয়ূম পাভেল এর বড় ভাই মোহাম্মদ আবদুল করিম পলাশ আর …