15 Kartrik 1431 বঙ্গাব্দ বুধবার ৩০ অক্টোবর ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / জাতীয় সংবাদ / ৪২ বছরেও উত্তোলনের উদ্যোগ না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নিদর্শন নওগাঁর পত্নীতলায় উন্নতমানের চীনামাটি ও রূপার সন্ধান

৪২ বছরেও উত্তোলনের উদ্যোগ না থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে নিদর্শন নওগাঁর পত্নীতলায় উন্নতমানের চীনামাটি ও রূপার সন্ধান

এনবিএন ডেক্স: নওগাঁর পতœীতলায় ধামইরহাট-পতœীতলা আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে আমবাটি নামক স্থানে গত ৪২ বছর আগে উৎকৃষ্ট মানের চীনামাটি ও রূপার সন্ধান পাওয়া গেলেও অদ্যাবধি তা উত্তোলনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। অযতœ আর অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে হারিয়ে যেতে বসেছে এই খনির নিদর্শনগুলো।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকার প্রবিণদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৫৮ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১০ বছর ভূতাত্ত্বিক অধিদপ্তর এর একটি শক্তিশালী অনুসন্ধানী দল উক্ত স্থানে জরিপ পরিচালনা, জায়গা নির্ধারণ ও খনন কার্য পরিচালনা করেন। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ফুট গভীরে শত শত ষ্টিলের পাইপ বসিয়ে তারা এ খনন কার্য পরিচালনা করেন। এ জরিপ ও খনন কার্যক্রম সে সময় স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ব্যাপক সাড়া জাগায়। তৎকালীন পূর্বপাকিস্থান ও পশ্চিম পাকিস্থানের মধ্যে বিরোধ চরমভাবে দানা বেধেঁ উঠতে শুরু করলে ক্রমান্বয়ে প্রকল্পটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৪০বছর পেরিয়ে গেলেও কোন সরকারের আমলেই এই খনির প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। দেশের খনিজ মানচিত্রে এ খনিটি একটি চিহ্ন হয়ে আছে মাত্র।
খনি এলাকার জমির মালিক আলীমুদ্দিনের ছেলে আব্দুর রহমান (৫৫) জানান, উল্লেখিত সময়ে খনিজের স্থানটি খননকার্য চলাকালে প্রায় শতাধিক দেশীÑবিদেশী কর্মকর্তা কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। খননকৃত এলাকাটি কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা ছিল। এ জরিপ টিমটি প্রায় দশবছর এ কার্যক্রম চালান। ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে খননকারীরা কূপের স্থানটি বন্ধ করে দিয়ে চলে যান। এর পর থেকেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে খনির স্থানটি।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমান স্মৃতি পিলারগুলো আবাদি জমির মাঝখানে হওয়ায় চাষাবাদ ব্যহত হয়। এ কারণে জমির মালিকরা কয়েকবার সেগুলো ভাঙ্গার চেষ্টা করেন। তবে পিলারগুলো অনেক শক্ত হওযায় তারা ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের আশংকা এ স্মৃতি চিহ্নগুলো একদিন হারিয়ে যাবে।
এলাকার প্রবীণ শিক্ষাবিদ নূর-আলম খাদেমুল ইসলাম (৮৫) জানান, আমার বাড়ি ডাকবাংলোর পাশেই। খনির খননকাজ চলাকালে ডাকবাংলোতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিবারসহ বসবাস করতেন। তাদের বেশীর ভাগই ছিলেন বিদেশী। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে ড্রিল কোরের শিলা খন্ডে যেখানে টনপ্রতি ১৪ থেকে ২৮ গ্রাম রূপার উপস্থিতিকে আকর হিসাবে এবং ইন্দোনেশিয়ায় টনপ্রতি ১৪৭ গ্রাম রূপার উপস্থিতিকে রিসোর্স হিসাবে উল্লেখ করা হয় সেখানে পতœীতলায় ড্রিল কোরের শিলাখন্ডে প্রাপ্ত রূপার পরিমান টনপ্রতি ২৫ গ্রাম। তিনি আরো জানান, উল্লেখিত স্থানটিসহ একই ইউপির চকনিরখিন মোড় ও গাহন মৌজায় ২টি স্থানেও একই সময় জরিপও খননকার্য চালানো হয়। তবে তার কোন স্মৃতি চিহ্ন বর্তমানে খুঁজে পাওয়া যায় না। বরেন্দ্র এলাকার অজপাড়া গাঁয়ে এ খনিটির অবস্থান হওয়ায় প্রচার মাধ্যম ও ভূত্বাত্বিক অধিদপ্তরের নজরে এটি সেভাবে গুরুত্ব পায়নি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তবে পতœীতলার এই উৎকৃষ্ট মানের চীনামাটি উত্তোলন করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানো যেতে পারে বলে তিনি বলেন।
এ বিষয়ে পতœীতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত মোঃ রফিক জানান, বিষয়টি আমার জানা আছে কিন্তু উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ভূতত্ব জরিপ অধিদপ্তর অফিস না থাকায় বিশেষ কিছু তিনি জানেন না বলে জানান।

আরও পড়ুন...

নওগাঁর নিয়ামতপুরে সমতল আদিবাসীদের মিলন মেলায় ঐতিহ্যবাহী সাঁওতালী নৃত্য প্রতিযোগিতায় আদিবাসীরা মানুষ হয়েছে, আদিবাসীরা পুরোপুরি মানুষ না হলেও বারো আনা মানুষ হয়েছে ————————————–খাদ্যমন্ত্রী

এন বিএন ডেক্সঃ  ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী অর্থাৎ আদিবাসীরা মানুষ হয়েছে, তবে পুরোপুরি মানুষ না হলেও বারো …