6 Boishakh 1431 বঙ্গাব্দ শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / খেলাধূলা / বিশ্ব শাসনের সাধ পূর্ণ জার্মানির

বিশ্ব শাসনের সাধ পূর্ণ জার্মানির

স্পোর্টস ডেস্ক : সুযোগ পেয়েছিল চেকোস্লোভাকিয়া আর নেদারল্যান্ডস, কিন্তু হতাশা নিয়ে ফিরতে হয় তাদের। দক্ষিণ আমেরিকায় আয়োজিত বিশ্বকাপে দল দুটি ব্যর্থ হলেও ব্রাজিলে ট্রফি জিতে ইতিহাসই গড়েছে জার্মানি।
মারিও গোটসের একমাত্র গোলে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে লাতিন আমেরিকা থেকে ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে শিরাপো জয়ের কৃতিত্ব দেখাল জার্মানি। একীভূত জার্মানির এটাই প্রথম শিরোপা। এর আগে তিনটি শিরোপা জিতছেল পশ্চিম জার্মানি।
ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে জার্মানির কোচ ইওয়াখিম লুভ ইতিহাস গড়তে চেয়েছিলেন। মারাকানায় উৎসবের মধ্য দিয়ে ফুটবল বিশ্বকে শাসনের স্বপ্নও দেখেছিলেন তিনি। লাতিন আমেরিকার এক পরাশক্তিকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নিয়ে তিনি দেখালেন, বিশ্ব শাসনের সামর্থ্য আছে ইউরোপের এই পরাশক্তির।
সেমি-ফাইনালে আরেকটি লাতিন পরাশক্তি ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করেই মারাকানার এই ইতিহাস গড়ার পথ তৈরি করেছিল জার্মানি।
লাতিন আমেরিকায় এর আগে চারবার বিশ্বকাপ আসর বসেছে। তার মধ্যে ১৯৬২ ও ১৯৭৮ বিশ্বকাপে যথাক্রমে ইউরোপের দুই দল চেকোস্লোভাকিয়া ও নেদারল্যান্ডস ফাইনালে ওঠে। ১৯৬২ সালের চিলি বিশ্বকাপে শিরোপা জেতে ব্রাজিল আর ১৯৭৮ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয় স্বাগতিক আর্জেন্টিনা। বাকি দুবারই শিরোপা জেতে উরুগুয়ে। চারটি শিরোপা জিতে ইতালির পাশে বসেছে জার্মানি। ইউরোপের এই দুটি দেশেরই শিরোপা চারটি করে। বিশ্বকাপের সবচেয়ে সফল দল ব্রাজিল জিতেছে পাঁচটি শিরোপা।
বিশ্বকাপের শিরোপাজয়ীরা:
সাল চ্যাম্পিয়ন রানার্সআপ আয়োজক দেশ
২০১৪ জার্মানি আর্জেন্টিনা ব্রাজিল
২০১০ স্পেন নেদারল্যান্ডস দক্ষিণ আফ্রিকা
২০০৬ ইতালি ফ্রান্স জার্মানি
২০০২ ব্রাজিল জার্মানি দ. কোরিয়া-জাপান
১৯৯৮ ফ্রান্স ব্রাজিল ফ্রান্স
১৯৯৪ ব্রাজিল ইতালি যুক্তরাষ্ট্র
১৯৯০ জার্মানি আর্জেন্টিনা ইতালি
১৯৮৬ আর্জেন্টিনা জার্মানি মেক্সিকো
১৯৮২ ইতালি জার্মানি স্পেন
১৯৭৮ আর্জেন্টিনা নেদারল্যান্ডস আর্জেন্টিনা
১৯৭৪ জার্মানি নেদারল্যান্ডস জার্মানি
১৯৭০ ব্রাজিল ইতালি মেক্সিকো
১৯৬৬ ইংল্যান্ড জার্মানি ইংল্যান্ড
১৯৬২ ব্রাজিল চেকোস্লোভাকিয়া চিলি
১৯৫৮ ব্রাজিল সুইডেন সুইডেন
১৯৫৪ জার্মানি হাঙ্গেরি সুইজারল্যান্ড
১৯৫০ উরুগুয়ে ব্রাজিল ব্রাজিল
১৯৩৮ ইতালি হাঙ্গেরি ফ্রান্স
১৯৩৪ ইতালি চেকোস্লোভাকিয়া ইতালি
১৯৩০ উরুগুয়ে আর্জেন্টিনা উরুগুয়ে

যোগ্য দলের হাতেই বিশ্বকাপের শিরোপা
স্পোর্টস ডেস্ক : ১৯৮৬, ১৯৯০, ২০০২ ও ২০১৪ সাল। এই চার বিশ্বকাপেই ফাইনালে খেলেছে জার্মানি। জিতেছে দুই বার, ২০০২ ও ২০১৪ সালে। আর হেরেছেও দুই বার। ১৯৮৬ সালে দিয়েগো ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনার কাছে পরাস্ত হয় তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি। এরপর ২০০২ সালে আরেক লাতিন আমেরিকান ব্রাজিলের কাছেও হার মানে তারা।
তবে ২০১৪-তে এসে ভুল করেনি জার্মানরা। লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে লাতিন আমেরিকায় প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল জোয়াকিম লোর দল।
এখন বার্লিন যেন উৎসবের নগরী। শুধু বার্লিনই নয় উৎসব চলছে গোটা জার্মানিতেই। তবে প্রশ্ন একটাই, যোগ্য দলের হাতে শিরোপা উঠেছে কি? গতিময় ফুটবল খেলে জার্মানি। মেসিফাইনালে ব্রাজিলকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ওঠে তারা। শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জার্মানদের থেকে বেশি বেশি গোলের আশা করেছিলেন অনেকে।
কিন্তু ফাইনাল বলে কথা। বাড়তি ঝুঁকি নেয়া দরকার কি? বেশি বেশি আক্রমণ করতে গিয়ে পাল্টা আক্রমণে গোল খেয়ে বসলে হিতে বিপরীত হতে পারে। যে কারণে দেখে শুনে খেলেছেন মুলার-শোয়েনস্টাইগাররা। ম্যাচের শুরু থেকেই মাঝমাঠের আধিপত্য ছিল জার্মানদের কাছে।
সে জন্যই বোধ হয় মেসিও চলে এসেছিলেন রক্ষণভাগে। কতক্ষণ আর রক্ষা করা যায়। সবাইকে রুখতে পারলেও মারিও গোটশেকে রুখতে পারেনি আর্জেন্টাইনরা। ১১৩ মিনিটের মাথায় আন্দ্রেয়া শুরলের পাস থেকে পাওয়া বলটি আর্জেন্টিনার জালে জড়ান গোটশে।
এই গোলটিই শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়। তার দলও পায় ১-০ ব্যবধানে জয়। জার্মানরাও তাহলে এত অল্প ব্যবধানে জেতে? যেভাবেই জিতুক, বিশ্বকাপের শুরু থেকে যেভাবে খেলে আসছে তাতে শিরোপার দাবিদার জার্মানিই। তাই যোগ্য দলের হাতেই উঠেছে বিশ্বকাপ-২০১৪এর ট্রফি।
বিশ্বকাপ ফাইনালে বিশ্বনেতারা
স্পোর্টস ডেস্ক : ব্রাজিল বিশ্বকাপের পর্দা নেমেছে বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে। ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করতে মারাকানা স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের সব বড় বড় নেতারা। এদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়া-জার্মানি-ভারতের মতো পরাশক্তি দেশগুলোর প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীরা। বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১টায় মারাকানায় শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নেমেছিল দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা ও তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি। দুই জায়ান্টের লড়াইয়ে শিরোপা জিতেছে জার্মানি। তাই ‘৯০ এর প্রতিশোধ নেওয়া হয়নি আর্জেন্টিনার। ম্যাচ শেষে জার্মানির প্রেসিডেন্ট জোয়াকিম গক, চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল খেলোয়াড়দের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেছেন। এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন-রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া সকল দেশের নেতারাও আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় ছিলেন। ৩২টি দেশের বেশিরভাগ নেতাই ফাইনাল ম্যাচটি মাঠে উপস্থিত থেকে উপভোগ করেছেন।

আরও পড়ুন...

তানোর উপজেলার অমৃতপুর একতা যুব সংঘের উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত 

এন বিএন ডেক্সঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলার ১নং কলমা ইউনিয়নের অমৃতপুর গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে …