এন বি এন ডেক্স: নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলা সদরের বাসিন্দা মোঃ মশিউর রহমান বানিজ্যিকভাবে পাখি পালন করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি দেশের পাখি প্রেমীদের নিকট পাখির বাচ্চা সরবরাহ করে তাঁদের চাহিদা পূরণে যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছেন। পাখি পালনের কারনে জেলার বদলগাছি উপজেলা সদরের জিধিরপুর মৌজার বাসিন্দা মোঃ নজির উদ্দিনের পুত্র মোঃ মশিউর রহমান ইতমিধ্যেই পাখি মশিউর বলে পরিচিতি অর্জন করেছে। তিনি প্রতিমাসে খরচ বাদ দিয়ে কমপক্ষে আয় করছেন ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। তিনি বদলগাছি উপজেলায় রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক হিসাবে কাজ করেন। এখন থেকে প্রায় ২ বছর পূর্বে তিনি বগুড়ায় বেড়াতে গিয়ে কোন এক বাড়িতে সৌখিনভাবে বাজুরিকা বা লাভবার্ড নামের পাখি চাষ করতে দেখে উৎসাহিত হয়েছেন। এই উৎসাহ থেকে প্রথমে ৬ জোড়া লাভবার্ড কিনে আনেন। বাড়িতে মাটির পাতিল ফুটো করে সেগুলোতে পাখি পালন শুরু করেন। পর্যায়ক্রমে এগুলো পাখি থেকে ডিম এবং বাচ্চা উৎপাদিত হতে থাকে। ক্রমেই পাখির সংখ্যা বাড়তে থাকে। ক্রমেই বাড়ির পরিত্যক্ত দু’টি ঘরে পাখির আবাস গড়ে তোলেন। দু’টি ঘরের চারিদিকের দেয়ালগুলোতে মাটির পাতিল ফুটো করে পাখিদের বসবাসের জায়গা করা হয়েছে। বর্তমানে মশিউরের ঐ দু’টি ঘরে কেবলমাত্র মা বাবা পাখির সংখ্যা প্রায় ৭শ। এসব পাখি নিয়মিত ডিম দিচ্ছে এবং ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে। প্রতিমাসে পাখির এই খামার থেকে কমপক্ষে ১৫০ থেকে ২০০ বাচ্চা উৎপাদিত হচ্ছে বলে মশিউর রহমান জানিয়েছেন। এসব বাচ্চা বিক্রির প্রধান মার্কেট হচ্ছে ঢাকার কাঁটাবন পাখি মার্কেট। প্রতিমাসে কাঁটাবন পাখি মার্কেটে মশিউর রহমান পাখির বাচ্চা সরবরাহ করে থাকেন। প্রতিটি পাখির বাচ্চা পাইকারীভাবে কমপক্ষে ২শ টাকা দরে বিক্রি হয়। এ হিসাবে প্রতিমাসে তিনি ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকার পাখির বাচ্চা বিক্রি করছেন। পাখির খাদ্য এবং ঔষধপত্র পরিচর্যা ইত্যাদি বাবদ প্রতিমাসে খরচ হয়ে থাকে প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে তিনি মাসে নীট আয় করছেন ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে তাঁর এই পাখির খামারটি এলাকায় ব্যপক পরিচিতি লাভ করেছে। অনেক পাখি প্রেমিক সেখানে পাখি দেখতে আসেন। কেউ কেউ সৌখিনভাবে পালনের জন্য পাখির বাচ্চা কিনেও থাকেন। যার ফলে মশিউর রহমান এলাকায় পাখি মশিউর হিসাবেও খ্যতি লাখ করেছেন। এ ব্যপারে নওগাঁ জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ কে এম নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন কোন কোন সৌখিন মানুষ বাড়িতে সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য সাধারনত খাঁচায় পাখি পালন করে থাকেন। তবে বানিজ্যক ভাবে পাখি পালন করার সম্ভাবনা আছে। যাঁরা বানিজ্যিকভাবে পাখি চাষ করছেন তাঁদেরও পাখির খামারে যাতে ব্লাড-ফ্লু আক্রান- না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য আহবান জানিয়েছেন। কারন অন্য পাখি থেকে এসব পাখির মধ্যে ব্লাড-ফ্লু ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন...
বে-সরকারী সংস্থার উদ্যোগে নওগাঁয় স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পা এখন সুস্থ্য
এনবিএন ডেক্স : স্বামী কর্তৃক অগ্নিদগ্ধ গৃহবধু সম্পাকে দীর্ঘদিন ঢাকায় বার্ণ হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ্য …