14 Chaitro 1430 বঙ্গাব্দ বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪
সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ »
Home / স্বাস্থ্য / সিরাজগঞ্জের চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রসূতি মাতার মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লিনিকে রক্ত দেয়ার ব্যবস্থা নেই

সিরাজগঞ্জের চিকিৎসকের গাফিলতিতে প্রসূতি মাতার মৃত্যুর অভিযোগ, ক্লিনিকে রক্ত দেয়ার ব্যবস্থা নেই

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পৌরশহরের সেবা ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলার কারনে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মারা যাওয়ার পর আত্মীয় স্বজনকে বিষয়টি গোপন রেখেই রোগীকে ক্লিনিক থেকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকার মধ্যে আলোচনার ঝড় বইছে। সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর পৌরশহরের দ্বাড়িয়াপুর মহল্লার মানিক মিয়ার স্ত্রী শারমিন খাতুন শাহজাদপুর উপজেলার দ্বারিয়াপুর গ্রামে মানিকের স্ত্রী। মানিক অভিযোগ করে জানান, তার স্ত্রীর গত ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে প্রসব বেদনা নিয়ে পৌরশহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের মালিক বাবুল মিয়ার সঙ্গে ৮ হাজার টাকায় চুক্তি হওয়ার পর ডাঃ অন্নপূর্ণা ও ডাঃ আনসার আলী রাত আটার দিকে সিজার করেন। এরপর রাত ৮ টায় শামিরুনকে সিজার করে একটি কন্যা সন্তান প্রেসাব করানো হয়। সিজারের পর রোগীকে বেডে আনা হলে রোগী ক্রমশই অসুস্থ হয়েপড়ে। এর পরপরই রোগী অচেতন হয়েপড়ে। রোগীদের আত্মীয় স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে রক্ত দেয়ার জন্য বলা হয়। কিন’ ক্লিনিকে রক্ত দেয়ার ব্যবস্থা এবং প্যাথলোজী বিভাগ না থাকায় রোগীকে রক্ত দিতে তারা ব্যার্থ হয়। এক পর্যায়ে রাতের কোন এক সময় সে মারা গেলে বিষয়টি গোপন রেখে রোগীকে অন্য হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে ক্লিনিক থেকে বের করে দেয়া হয়। পরিসি’তি বেগতিক দেখে ক্লিনিকের মালিক বাবুল সরকার একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে  সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রোগীর স্বামী মানিক অভিযোগ করে বলেন, রোগীর কোন স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসা এবং গাফিলতির কারনেই ক্লিনিকেই শামিরুনের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে ক্লিনিকের মালিক বাবুল সরকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোগী তার ক্লিনিকে নয় সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা গেছে। রোগীর রক্তদেয়া এবং প্যাথলোজি বিভাগ নেই এমন বিষয়ে তিনি বলেন, রক্ত দেয়ার জন্য ডোনারকে রাখা হয়েছিলো। এজন্য অন্য স্থান থেকে একজন টেকনিশিয়ানকে আনা হয়। লোক চলে যাওয়ায় আপাতত প্যাথলোজি বিভাগ সাময়ীক বন্ধ রয়েছে। তা ছাড়া সব কিছুত্ম ব্যবস্থাই রয়েছে। রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে তার আত্নীয় স্বজনদের  কোন অভিযোগ নেই। এ ব্যাপারে সিজারের ডাক্তার অন্নপূর্ণার সাথে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এক বছর পূর্বে তাকে সিজার করা হয়েছে। এই সামান্য ব্যবধানে আবার সিজার করাটা একটু রিক্স। তারপরেও রোগীদের আত্মীয় স্বজনদের অনুরোধে সিজার করা হয়। সিজারের পর পর রোগী অসুস’ হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জে নেয়ার জন্য রাতেই বলা হয়। এখানে কোন গাফিলতি বা অনিয়ম হয়নি। ডাঃ আনসার আলী জানান, রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ার খবর পাওয়ার পর আমি ক্লিনিকে যাই। সেখানে দ্রুত রক্ত দেয়া সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনকরতে জরুরী ভাবে রেফার্ড করা হয়। তবে একবছরের মধ্যেই আর একটি সিজার করা ঝুকি পূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন। এখানে চিকিৎসকের কোন গাফিলতিনেই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে নবজাতক কন্যা বেচে আছে।

আরও পড়ুন...

নওগাঁয় একটি বে-সরকারি ক্লিনিক সিলগালা ঃ ৪টি ক্লিনিকে জরিমানা

এনবিএন ডেক্সঃ নওগাঁয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, লাইসেন্সবিহীন, ডিউটি ডাক্তার ও মেডিকেল ডিপ্লোমা নার্স না থাকায় অভিযান …